সবাই প্রায় ব্যান্ডেডের গুণ জানেন। এর মূলত দুটি কাজ। প্রথমত, ক্ষতস্থান ঢেকে রাখা। দ্বিতীয়ত, এতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক উপাদান সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। এই হল মূলত ব্যান্ডেডের কাজ। তবে অনেকেই ব্যান্ডেড ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানেন না। এই কারণে সংক্রমণ কমার বদলে, বাড়তে শুরু করে দেয়।
তাই এই চিকিত্সা সামগ্রী ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানতে হবে। তবেই কাটা জায়গায় সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
একটি ব্যান্ডেড ক্ষতস্থানে লাগানোর পর মোটামুটি ১ দিন ব্যবহার করা যেতে পারে। একদিনের বেশি ব্যবহার করলে সেই জায়গায় সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে ১ দিন পর এমনিতেই ব্যান্ডেডের ভিতর থাকা ওষুধ কাজ করে না। এর পাশাপাশি জায়গাটা একনাগাড়ে একদিনের বেশি বদ্ধ থাকায় আশঙ্কা তৈরি হয় সংক্রমণ বৃদ্ধির। তাই একটি ব্যান্ডেড একদিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। চাইলে দিনে ২টি ব্যান্ডেডও ব্যবহার করতে পারেন।
কেটে-ছড়ে গেলে প্রাথমিকভাবে ১. ভালো করে জায়গাটা ধুয়ে নিন ২. একটা টিটেনাস ইঞ্জেকনস নিয়ে ফেলুন ৩. জায়গাটায় একটা ব্যান্ডেড লাগিয়ে নিন ৪. রক্তপাত না কমলে, আঘাত বড় হলে অবশ্যই চিকিত্সকের কাছে যান। এই ধরনের কাটায় সেলাই করার প্রয়োজন হতে পারে।
সাধারণত ক্ষতস্থানে বেশি জল লাগাতে বারণ করা হয়। এতে সংক্রমণ তৈরির আশঙ্কা থাকে। তবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চাইলে অনায়াসে ব্যান্ডেড লাগিয়ে স্নান করতে পারেন। এখন প্রায় সব ব্যান্ডেডই ওয়াটার প্রুফ। তাই ক্ষতস্থানে জল লাগার ভয় থাকে না। তবে ক্ষত স্থানে জল লাগলে তখন আরেক কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটবে! সারাদিন ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখলে অনেক ক্ষেত্রেই ঘা শোকাতে চায় না। এই পরিস্থিতির শিকার না হতে চাইলে ঘরে ব্যান্ডেড লাগিয়ে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। জায়গাটায় হাওয়া, বাতাস লাগতে দিন। শুধুমাত্র বাইরে যখন বেরচ্ছেন, তখন ক্ষতস্থানকে ধুলো, বালি, ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ব্যান্ডেড লাগিয়ে ফেলতে পারেন।
ব্যান্ডেড লাগালে ক্ষত দ্রুত শোকায় না। ছোটখাট কাটা, ক্ষত নিজের থেকেই সেরে যায়। এর পিছনে ব্যান্ডেডের হাত নেই। ব্যান্ডেড কেবল সংক্রমণ রোধ করে। তাই ব্যান্ডেড লাগিয়ে যদি ভাবেন ক্ষত দ্রুত সেরে যাবে, তাহলে ভুল করছেন মশাই। তবে আবারও বলব, ক্ষতস্থান উন্মুক্ত করে বাইরে বেরবেন না। বরং একটা ব্যান্ডেড লাগালে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা কমবে।