গরমে বাইরের খাবারও কম খাওয়া হয়। তেলেভাজা বা পিত্জা, বার্গার এই সময় পরিমাণে কমই খাওয়া হয়। গরমের দিনে ঘরে ঘরে যে খাবার প্রায়দিন হয় তা হল টক ডাল। কাঁচা আম দিয়ে টক ডাল, আলুপোস্ত হলেই ভাত খাওয়া হয়ে যায়। এই টকের ডাল যেমন লু এর হাত থেকে বাঁচায় তেমনই ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
গরমের দিনে ব্রেকফাস্টে এই ডাল একবাটি করে খেতে পারলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত কোনও রকম খিদে পায় না। এক্ষেত্রে কিন্তু সবচাইতে ভাল হল মুসুর ডাল। কয়েক সপ্তাহ এই ডাল খেলে নিজেই ফারাক বুঝতে পারবেন। মসুর ডালে ভালো পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সঙ্গে এটি স্বাস্থ্যকর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। যে কারণে একাধিক রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে মুসুরের ডাল।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে মুসুর ডালে উপস্থিত ফাইবার, রক্তে মিশে থাকা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে একদিকে যেমন হঠাত্ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে, তেমনি স্ট্রোকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। মুসুর ডালে ফাইবার ছাড়াও রয়েছে ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়াম, যা হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে কোনও ধরনের হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। প্রসঙ্গত, ফলেট শরীরে হমোসিস্টেনিনের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট দীর্ঘদিন পর্যন্ত কর্মক্ষম থাকে। অন্যদিকে, ম্যাগনেসিয়াম সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়িয়ে তোলে। এমনটা হওয়ার কারণে শুধু হার্ট নয়, শরীরের প্রতিটি গুরুত্কবপূর্র্মণ অঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
মুসুর ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে বদ-হজম সহ গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে। পেটের যে কোনও সমস্যার জন্য ভাল মুসুরের ডাল। ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি নিয়মিত ভাবে এই মুসুরের ডাল খেতে পারেন তাহলে খুবই ভাল।
কী ভাবে খাবেন এই মুসুরের ডাল: মুসুর ডাল পেঁয়াজ, রসুন ফোড়ন দিয়ে খেতে পারেন। আবার পেঁপে, কগাজর, কুমড়ো দিয়ে সিদ্ধ করেও খেতে পারেন। গরমে কাঁচা আম দিয়ে ডাল বানিয়ে খেলেও একই উপকার।