তীব্র গরমে বার বার করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সারা দিনের কাজের চাপে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতেও ভুলে যান অনেকেই। পানির মাধ্যমেই বেশির ভাগ শারীরবৃত্তীয় কাজ সম্পন্ন হয়। শরীরে দৈনন্দিন পানির যে চাহিদা, তা পূরণ না হলে হাজারো শারীরিক গোলমাল দেখা যায়। পানি শুধু শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে তাই নয়, পরিপাকতন্ত্র ও শ্বাসতন্ত্রকে সুসংগঠিত রাখতেও পানি অপরিহার্য।
শরীরে পানির অভাব হলে, শরীর নিজে থেকেই সেই সঙ্কেত দেয়। সেই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই বোঝা যাবে যে এখন শরীরে পানির অভাব মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
কী কী উপসর্গ বলে দেবে যে, আপনার শরীরে পানির অভাব হচ্ছে?
১) শরীরে পানির অভাব হলে গরমকালেও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। হঠাৎ করে ত্বক রুক্ষ বোধ করতে শুরু করলে এবং ত্বকে ব্রণ ও চুলকানির সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, শরীরে পানির ঘাটতি হচ্ছে।
২) প্রস্রাবের রং লক্ষ করুন। হলুদ প্রস্রাব হলে বুঝতে হবে, শরীরে পানির অভাব রয়েছে। এ ছাড়াও শরীরে পানির ঘাটতির কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় এবং প্রস্রাব করার সময় জ্বালা বোধ হয়।
৩) শরীরে পানির ঘাটতি হলে শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি মুখে দুর্গন্ধও হয়। পানি মুখে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যা নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াগুলি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
৪) ডিহাইড্রেশন হলে ঘন ঘন পানি তেষ্টা পায়। বার বার পানি খেলেও শরীরে পানি জমে থাকতে পারে না। সাধারণ পানির পরিবর্তে লেবু-জল বা ইলেক্ট্রল দ্রবণযুক্ত পানি পান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৫) শরীরে পানির অভাব হলে অনেক সময় রক্তচাপ কমে যেতে পারে। অকারণে মাথাব্যথাও হতে পারে। সারা ক্ষণ আলস্য ও ক্লান্তি অনুভব করতে পারেন।
৬) পানির অভাবে শরীরে রক্তের পরিমাণ কমে যায়, তাই সমস্ত অঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে দিতে হৃদ্যন্ত্রকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে হৃদ্যন্ত্র উপর চাপ পড়ে। হঠাৎ করে হৃদ্স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যায়।