দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকিট কাটার চেয়ে ঘরে বসে অনলাইনে কেটে নিতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে কোনো কারণে যাত্রা বাতিল করতে চাইলে এতদিন অনলাইনে টিকি ফেরত দেয়ার (রিফান্ড) ব্যবস্থা ছিল না। সম্প্রতি সেই সুবিধাও চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাই ঘরে বসেও ফেরত দিতে পারবেন ট্রেনের টিকিট।
এবার ঈদে শতভাগ ট্রেনের টিকিটই অনলাইন করার ব্যবস্থা নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৭ এপ্রিল) শুরু হয়েছে রেলপথে ঈদযাত্রা। অনলাইনের টিকিট ঝামেলা পেরিয়ে যারা ট্রেনে উঠে বসেছেন, তাদের ঈদ আনন্দ যেন শুরু হয়ে গেছে তখনই।
বাকি দিনগুলোতে কোনো কারণে কেউ যাত্রা বাতিল করতে চাইলে স্টেশনে গিয়ে নয়, ঘরে বসে অনলাইনেই ফেরত দিতে পারবেন টিকিট। এজন্য কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
এজন্য যে অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রেনের টিকিট কেনা হয়, সেখানে একটি পার্চেজ হিস্ট্রি থাকে। পার্চেজ হিস্ট্রিতে দেখা যাবে ক্রেতা কতগুলো টিকিট ক্রয় করেছেন। সেই তালিকার ডান পাশে টিকিট বারে একটি নতুন বাটন যুক্ত হবে ‘ক্যান্সেল’ নামে। ওই ক্যান্সেল বাটনে চাপ দিলেই ক্রেতা দেখতে পাবেন, এখন টিকিট ফেরত দিলে কত টাকা ফেরত পাবেন।
পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৮ কার্যদিবসের মধ্যে টিকিটের টাকা ফেরত পাবেন ক্রেতা। তবে কোনো কারণে টাকা ফেরত না পেলে সমস্যার বিবরণসহ [email protected] - এই ঠিকানায় মেইলে একটি অভিযোগ করতে হবে। এ মেইলের উত্তর যাত্রীকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠানো হবে।
টিকিট রিফান্ড পলিসিতে বলা হয়েছে, যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগে টিকিট ফেরত দেয়ার ক্ষেত্রে এসি ক্লাসের জন্য ৪০ টাকা, প্রথম শ্রেণির জন্য ৩০ টাকা এবং অন্য শ্রেণির জন্য ২৫ টাকা পরিষেবা চার্জ কাটা হবে। যাত্রা শুরুর ৪৮ ঘণ্টার কম এবং ২৪ ঘণ্টার বেশি আগে হলে ভাড়ার ২৫ শতাংশ কাটা হবে; ২৪ ঘণ্টার কম এবং ১২ ঘণ্টার বেশি আগে হলে ভাড়ার ৫০ শতাংশ কাটা হবে; ১২ ঘণ্টার কম এবং ৬ ঘণ্টার বেশি আগে হলে ভাড়ার ৭৫ শতাংশ কাটা হবে; আর যাত্র শুরুর ৬ ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে টিকিট ফেরত দেয়া যাবে না।
অনলাইন ক্রয়ের জন্য পরিষেবা চার্জ অ-ফেরতযোগ্য হবে।