২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০২:৪১:০৪ অপরাহ্ন


অতিরিক্ত ঘাম থেকে রেহাই পাওয়ার টিপস
ফারহানা জেরিন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০২-২০২৩
অতিরিক্ত ঘাম থেকে রেহাই পাওয়ার টিপস ফাইল ফটো


গরমে তো ঘামবেনই। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? স্বাভাবিক ঘাম হলে এর সঙ্গে অতিরিক্ত টক্সিন ও অপ্রয়োজনীয় বেশ পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ঘাম হওয়া যদিও শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু এটি কখনো কখনো অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।

যাদের ঘাম বেশি হয়, তাদের নিজেকে সতেজ রাখার চেষ্টা করতে হবে। বেশি ঘামের কারণে কোনো ধরনের পোশাক পরেই বেশিক্ষণ থাকতে পারেন না তারা। দেখা গেল, ঘেমে জবুথবু অবস্থা। শুধু কি পোশাক ভিজে যাওয়া? সেইসঙ্গে ঘামের কারণে সৃষ্ট উৎকট গন্ধ তো রয়েছেই।

অতিরিক্ত ঘাম কেন হয়?

শরীরে কোনো রোগ না থাকার পরেও যদি অতিরিক্ত ঘাম হতে থাকে তবে বুঝবেন, স্নায়ুগ্রন্থির প্রভাবে ঘর্মগ্রন্থি অতিরিক্ত মাত্রায় সক্রিয় থাকার কারণেই এই অত্যাধিক ঘামের সৃষ্টি। এছাড়াও ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মেনোপোজ কিংবা উদ্বেগের কারণেও ঘাম বাড়তে পারে। কিছু কাজ আপনাকে এই অতিরিক্ত ঘাম থেকে মুক্তি দেবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই কাজগুলো কী-

মেথি ভেজানো জল: অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করতে মেথি ভেজানো জল হতে পারে কার্যকরী উপাদান। এক চা চামচ মেথি এক গ্লাস জল সারারাত ভিজিয়ে রাখুন, পরদিন সকালে উঠে সেই জলটুকু ছেঁকে খালি পেটে পান করুন। এতে অতিরিক্ত ঘামসহ আরও অনেক সমস্যা দূর হবে।

মিশ্রণ ব্যবহার: ঘাম অতিরিক্ত হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন একটি বিশেষ মিশ্রণ। সারিভা, চন্দন, আমলকির গুঁড়া এবং গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এরপর এটি ভালোভাবে গায়ে লাগিয়ে রাখুন, মিনিট বিশেক পর ধুয়ে ফেলুন।

চন্দনের ব্যবহার: চন্দন ব্যবহারের রয়েছে অনেক উপকারিতা। এটি ত্বকের যত্নে অনেকভাবে উপকার করে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা কমাতেও কাজ করে চন্দন। চন্দন বেটে নিন। এরপর শরীরের যে স্থানে ঘাম বেশি হয় সেখানে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টার মতো। এতে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।

খাবারে যেসব পরিবর্তন আনবেন

* অতিরিক্ত ঝাল এবং টক জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এর বদলে অল্প তেল-মসলায় তৈরি খাবার খান।

* খুব বেশি গরম খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। স্বাভাবিক তাপমাত্রার খাবার খান।

* রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েকটি কিশমিশ জল ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জলটুকু খেয়ে নিন।

* তেতো এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার সম্ভব হলে একটু বেশি খাবেন। এতে ঘাম কম হবে।