সেক্স টয়! না মানুষ! গুলিয়ে ফেলেন অনেকেই।
মানুষের ত্বকের মতোই নমনীয় ত্বক, হাত-পা নাড়াচাড়াও করে, চুল-নখ-দাঁত, ঠোঁট শরীরের সব অঙ্গই মানুষের মতোই। আত্মীয়-বন্ধুরাও চমকে যান তাদের দেখে। দু’দুটো সেক্স টয় কিনে উল্লসিত রড। পুতুলদুটির (sex doll) নামও দিয়েছেন করিনা ও লরেন। তারা প্রেমিকার চেয়েও বেশি যৌনসুখ দেয়, এমনটাই দাবি রডের।
সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা রড। প্রেমিকার সঙ্গে ছড়াছাড়ি হওয়ার পরে বছরখানেক কারও সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেননি। তারপর একদিন করিনাকে দেখেন। না করিনা মানুষ নয়। একটি চিনা সংস্থার তৈরি সেক্স টয় (sex doll)। এমনভাবেই তাকে বানানো যে মানুষের মতোই সবকিছু, শুধু কথাটাই যা বলতে পারে না। করিনার পেলব, নমনীয় ত্বক, গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট দেখেই প্রেমে পড়ে গেছেন রড। আর করিনা নাকি খুব ভাল যৌনসঙ্গীও। করিনাকে ছেড়ে এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না ৫৪ বছরের প্রৌঢ়।
৮৫ বছরের মায়ের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন করিনার। মা প্রথমে ভীষণ রেগে গেলেও পরে ছেলের চাহিদা বুঝতে পারেন। করিনাকে তিনিও নাকি খুব পছন্দ করেন। সেস্ক টয়ের জন্য জামাকাপড়, গয়নাও কিনেছেন রডের মা।
তবে শুধু করিনা নয়, রডের আরও এক বান্ধবী আছে। তার নাম লরেন। না, লরেনও মানুষ নয়। আরও একটা সেক্স টয় (sex doll) নাকি সস্তায় পেয়ে কিনে ফেলেছেন প্রৌঢ়। এটির দাম ১ লাখ ৬৪ হাজারের মতো, করিনার দাম ছিল ১ লাখ ৭০ হাজারের (ভারতীয় টাকায়) মতো। নতুন সেক্স টয় লরেনও খুব সুন্দর। সে এখন রডের দিনের বেলার সঙ্গী।
তবে সেক্স টয়রা যতই যৌনসুখ দিক, তারা তো আর কথা বলতে পারে না। তাই রড এখন এক মানুষ বান্ধবীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছেন। তিনি থাকেন সুদূর ভিয়েতনামে। ফোনেই কথাবার্তা হয়। সেই বান্ধবীও নাকি রডের দুই পুতুল-বান্ধবীর কথা জেনে গেছেন। রডের দাবি, প্রথমে খুব রেগে গেলেও পরে মেনে নিয়েছেন তিনি। করিনা-লরেনের সঙ্গে সহবাসের টিপসও নাকি দেন সেই বান্ধবী। দুই সেক্স টয় ও এক মানুষ বান্ধবীকে নিয়ে এখন সুখেশান্তিতেই রডের দিন কাটছে।
