২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০২:২২:২৯ অপরাহ্ন


চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনের অপেক্ষা
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০১-২০২৩
চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনের অপেক্ষা File Photo


প্রস্তুত পূর্বাচল ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়ে, দুই পাশেই চলছে উন্নয়নযজ্ঞ, গড়ে উঠছে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা, হুহু করে বাড়ছে জমির দাম

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম দৃষ্টিনন্দন সড়ক ‘পূর্বাচল ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়ে’ এখন আর স্বপ্ন নয়। ভৌত অবকাঠামোর অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে। চলছে শেষ সময়ের সৌন্দর্যবর্ধন ও খুঁটিনাটি কাজ। এরই মধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে বেশির ভাগ লেন। ১৪টি লেনবিশিষ্ট দেশের সবচেয়ে চওড়া ও দ্রুতগতির সড়কটি দিয়ে দিন-রাত শাঁ শাঁ করে ছুটে চলছে যানবাহন। সড়কের দুই পাশের পাড় বাঁধানো খালে টলমল করছে স্বচ্ছ পানি। সড়কের মাঝখানের মিডিয়ানে লাগানো হচ্ছে দেশি-বিদেশি গাছ। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ। চলতি মাসের          শেষ বা আগামী ফেব্রুয়ারির শুরুতেই সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত করতে চায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৩০০ ফুট এক্সপ্রেসওয়েটি পুরোপুরি চালু হলে শুধু নতুন শহর পূর্বাচলের সঙ্গেই নয়, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, সিলেট, চট্টগ্রাম, কিশোরগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। পশ্চিমে প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে পূর্বে ঢাকা বাইপাসকে সংযুক্ত করবে এই সড়ক। কমে যাবে যাতায়াতের সময় ও দূরত্ব। এ প্রকল্পটিকে অন্যতম পর্যটন এলাকা হিসেবেও বিবেচনা করা হচ্ছে। দুই পাশে ১০০ ফুট চওড়া পাড় বাঁধানো দৃষ্টিনন্দন খালে নামানো হবে ওয়াটার বাস। পাড়েই লাল ইটের ওয়াকওয়ে। খালপাড় শোভিত থাকবে নানা রঙের দেশি-বিদেশি গাছে। কাজের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ‘কুড়িল পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে ১০০ ফুট খাল খনন ও উন্নয়ন প্রকল্প’র পরিচালক এম এম এহসান জামীল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অনেক বড় একটি কাজ। প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সার্বিকভাবে প্রকল্পের অগ্রগতি ৯৮ ভাগের বেশি। করোনায় শ্রমিক সংকটে কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। চলতি মাসের শেষ বা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী যেন প্রকল্পটি উদ্বোধন করতে পারেন, সেভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সদয় সম্মতি দিয়েছেন। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকায় পূর্ব-পশ্চিম বরাবর তেমন কোনো রাস্তা নেই। এই রাস্তাটি হলে ঢাকা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামের দিকে কম সময়ে যাতায়াত করা যাবে। নরসিংদী থেকে এসে মানুষ অফিস করতে পারবে। ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) অনুযায়ী পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ৮০ ফুট, ১৩০ ফুট ও ২০০ ফুট চওড়া তিনটি রাস্তা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে মাদানি এভিনিউ হয়ে ডেমরার দিকে চলে যাবে। উল্টো দিকে রাস্তা তিনটি যাবে টঙ্গী পর্যন্ত। অর্থাৎ ৩০০ ফুট সড়কটি রাজধানীকে চতুর্দিক থেকে সংযুক্ত করবে। এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মেট্রোরেল যাবে। এ জন্য মাঝ বরাবর ৪ মিটার জায়গা রেখেছি। প্রকল্পের আওতায় খননের মাধ্যমে তিনটি খালের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করায় নিকুঞ্জ, জোয়ারসাহারা, বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কাওলা, খিলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকা আর জলাবদ্ধ হবে না।