০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০২:২০:০৮ অপরাহ্ন


অশুভ নজর থেকে বাঁচানোর কথা বলে মহিলাকে ধর্ষণ !
এহেসান হাবিব তারা :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০১-২০২৩
অশুভ নজর থেকে বাঁচানোর কথা বলে মহিলাকে ধর্ষণ ! অশুভ নজর থেকে বাঁচানোর কথা বলে মহিলাকে ধর্ষণ !


রূপান্তরকামী সেজে এবং অশুভ নজর থেকে বাঁচানোর নাম করে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পরিচয় ভাঁড়িয়ে কুসংস্কার ছড়ানো এবং ধর্ষণের জন্য অভিযুক্তকে আলাদা আলাদাভাবে শাস্তি দিল মহারাষ্ট্রের একটি আদালত। মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার জন্য এক বছর এবং ধর্ষণের জন্য অভিযুক্তকে ৭ বছরের সশ্রম কারাবাসের নির্দেশ দিল আদালত।

ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালে।অভিযুক্তের নাম নরসীমা বিছাপ্পা শীর্বতী। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল তিনি এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। অভিযুক্ত নিজেকে একজন রূপান্তরকারী বলে পরিচয় দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, নরসীমা তাঁকে বলে, তাঁর উপর শয়তানের দৃষ্টি রয়েছে। সেই কুদৃষ্টি কাটানোর উপায়ও বলে সে। মহিলাকে সিঁদুর, হলুদ ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস মাখিয়ে বাথরুমে নিয়ে যায় সে। সেখানেই তাঁকে অভিযুক্ত ধর্ষণ করে বলে আদালতে জানিয়েছেন মহিলা।

তিনি আরও জানিয়েছেন ঘটনার কথা কাউকে বললে ফল ভাল হবে না বলে তাঁকে হুমকি দেয় অভিযুক্ত। নরসীমা বলে, রোগে ভুগে আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবেন তিনি, কোনওদিন সন্তান ধারণও করতে পারবেন না।

ঘটনার পর অভিযুক্ত চলে গেলে কাঁদতে কাঁদতে নিজের বন্ধুকে সব কথা খুলে বলেন নির্যাতিতা। এক সপ্তাহ পরে নরসীমাকে তাঁর বাড়ির সামনে ঘুরঘুর করতে দেখেন মহিলা। এরপরেই স্বামীকে সব কথা খুলে বলেন তিনি। দুজনে মিলে ধরে ফেলেন অভিযুক্তকে। এরপর নরসীমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। 

৪ বছরেরও বেশি সময় মামলা চলার পর দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত। বুধবার মামলার সাজা ঘোষণা করেন বিচারপতি। পরিচয় গোপন করে রূপান্তরকামী সেজে তুকতাক করার জন্য ১ বছর এবং ধর্ষণ করার জন্য অভিযুক্তকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত।