২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১১:০৪:০৪ পূর্বাহ্ন


নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ
তমাল দাস :
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১২-২০২২
নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ


চিকিৎসা করতে আসা মহিলাকে নিরাপদ আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করল তাঁরই পরিচিত যুবক বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে কলকাতায় আশ্রয় দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জয়পুরের এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে জয়পুর থানার পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃত যুবকের নাম মন্টু বল্লভ। বাড়ি জয়পুরের বৈতল এলাকার কল্লাইয়া গ্রামে। অভিযুক্তকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। আশ্রয় দেওয়ার নাম করে সে এই কুকর্ম আরও করেছে কিনা ধৃতকে জেরা করে জানার চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই যুবক মন্টু বল্লভ কোতুলপুর ও জয়পুর এলাকার বিভিন্ন মানুষজনকে কলকাতায় নিয়ে এসে চিকিৎসায় সহায়তা করত। এমনকী কলকাতার বাগুইআটিতে সে একটি বাড়ি ভাড়াও নেয়। মাঝে মাঝে সেখানে গিয়ে উঠত। সম্প্রতি বৈতল এলাকারই বাসিন্দা ওই মহিলা কলকাতায় এনআরএস হাসপাতালে চিকিৎসা করতে যান। মন্টু চিকিৎসার জন্য মানুষজনকে নিয়ে যায় বলে এলাকায় অনেকেই জানেন। তাই ওই মহিলা তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মন্টু ওই মহিলাকে একাই কলকাতা নিয়ে আসে। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসাও করা হয়। তারপর ফেরার ট্রেন না থাকায় ওই যুবক মহিলাকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আর তার ভাড়া বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁকে সারারাত ধর্ষণ করে।

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ রাতের নির্যাতনের পর বাড়ি ফিরে এসে ওই মহিলা ঘটনার কথা তাঁর পরিবারের সদস্যদের জানান। বাড়ির সদস্যদের পরামর্শে তিনি জয়পুর থানার অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাতে মন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। এই অভিযুক্ত মন্টু নির্যাতিতার থেকে বয়সে ছোট। তবে সাবালক। কলকাতায় নিয়ে এসে এভাবে মন্টু নির্যাতন করবে তা ভাবতে পারেননি নির্যাতিতা। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

আর কী জানা যাচ্ছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মামারবাড়ির সূত্র ধরে মন্টুর সঙ্গে ওই মহিলার পরিচয় ছিল। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় মহিলা তাকে সহজেই বিশ্বাস করেন। হাসাপাতালে চিকিৎসা করার ব্যাপারেও মন্টু যথেষ্ট সহযোগিতা করেছিল বলে তাঁর মনে বিশ্বাস বাড়ে। নিরাপদ আশ্রয়ের কথা ভেবে মন্টুর ভাড়াবাড়িতে গিয়েও উঠেছিলেন। কিন্তু ভাড়াবাড়িতে একা পেয়ে তাঁর উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। ওই মহিলা জয়পুর থানার দ্বারস্থ হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।