শরীরের যত্ন ভিতর থেকে নেয় গ্রিন টি। বিশেষ করে চটজলদি ওজন কমাতে গ্রিন টি খাওয়ার ইদানীং চল বেড়েছে। দ্রুত রোগা হতে অনেকেই দিনে একাধিক বার এই চা খাচ্ছেন। আর তাতেই দেখা দিচ্ছে বিপদ। গ্রিন টি উপকারের বদলে অপকার করছে বহু ক্ষেত্রে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্যাপারটি আসলে তা নয়। গ্রিন টি-র সত্যিই প্রচুর উপকারী দিক রয়েছে। কিন্তু সেটিকে ঘিরে কিছু মানুষের অতিরিক্ত উৎসাহ ডেকে আনছে বিপদ। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে ওজন কমানো। ত্বকের যত্নে এমনকি, চুল ভাল রাখতেও গ্রিন টি-র ভূমিকা অনবদ্য।
সাধারণ ভাবে গ্রিন টি মেদ কমাতে সাহায্য করে। শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকারক কিছু কোষের মৃত্যু ঘটায়। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে গ্রিন টি। দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। মানসিক উদ্বেগ কমায়। যত্ন নেয় ত্বকেরও। এত উপকারী দিক আছে বলেই বার বার গ্রিন টি খাওয়ার কোনও মানে নেই। আসলে যতই উপকারী হোক, কোনও কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। সকালে উঠে অনেকেই গ্রিন টি-র কাপে চুমুক দেন। অনেকেই ভাবেন এতে স্বাস্থ্যরক্ষা হবে। আদতে কিন্তু তা নয়। কারণ খালি পেটে গ্রিন টি কখনও খাওয়া ঠিক নয়। সব সময়ে খাওয়ার পরেই গ্রিন টি খাওয়া উচিত। খালি পেটে গ্রিন টি খেলে পাকস্থলিতে অ্যাসিড ক্ষরণ হয়ে আলসারের ভয় থাকে।
অফিসে, রেস্তরাঁতে তো বটেই, বাড়িতেও চায়ের বদলে গ্রিন টি-ই পছন্দ করেন অনেকে। অতিরিক্ত গ্রিন টি খেলে কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ এর ফলে ক্রিয়েটিনিন অনেক বেড়ে যায়। কিডনির স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা কমে যায়। গ্রিন টি খেলে রক্ত জমাট বেঁধে যেতে পারে। এর ফলে হার্টের সমস্যা, স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। গ্রিন টি শরীরে থাকা আয়রন শোষণ করে নেয়। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওজন কমানোর জন্য এখন অনেকেই গ্রিন টি খাচ্ছেন। কিন্তু প্রতি দিন অন্তত ছ’-সাত কাপ গ্রিন টি খেলে তা শরীরের জন্য বিপজ্জনক। গ্রিন টি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি হলে কিডনির ক্ষতি হতে পারে।