দাম্পত্য জীবন সব সময় সুখের হয় না। কখনো কখনো দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে কালো মেঘের ছায়া। এ জন্য স্বামী যখন তার স্ত্রীর প্রতি বিশ্বাসী এবং শ্রদ্ধাশীল নয়, তখন স্ত্রী এই ভয়ের শিকার হয়। আবার স্ত্রী যখন তার স্বামীর প্রতি বিশ্বাসী বা শ্রদ্ধাশীল নয়, তখন স্বামীও একই ভয়ের শিকার হয়।
তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরাই বেশি এ রকম ভয়ের শিকার হয়। তবে তারা কখনো এই বিষয়গুলো অন্যের সঙ্গে শেয়ার করেন না। কারণ তারা লজ্জা ও অপমান বোধ করেন। কিন্তু মনে রাখবেন সমস্যা চেপে রাখা কোনো সমাধান নয়, আলোচনা হতে পারে সমাধানের লক্ষণ। আসুন জেনে নেই কী হতে পারে স্ত্রীকে ভয়ের কারণ।
>>> দাম্পত্য জীবনে যারা সুখী নন, তাদের ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে।সারা দিনের কাজ শেষে বাসায় ফিরতে ভয় পান। কারণ, বাসায় তারা তর্ক, রাগারাগি, অভিনয়, ব্ল্যাকমেইল করার কৌশলকে ভয় পান।
>>> অনেক পুরুষ আত্মসম্মানবোধ সম্পর্কে অনেক সচেতন।তাই তারা কোনো বিষয় নিজে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করতে চান না।সে ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী হিসেবে স্ত্রী যন্ত্রণা সহ্য করে।
>>> স্বামীর প্রতি স্ত্রীর অনেক অভিযোগ থাকলেও বেশির ভাগ পুরুষরা নিজের কষ্ট মনে চেপে রাখেন।সম্মানের ভয়ে অনেক সময় তাদের কষ্টের কথা বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করে না। ফলে কথাগুলো বের হওয়ার কোনো রাস্তা খুঁজে পায় না।
>>> অতিরিক্ত রাগ অনেক ক্ষতির কারণ। অনেক স্ত্রী অনেক রাগী হয়। এমন কি ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী যদি অনেক রাগী হন তখন স্বামী পরিস্থিতি স্বাভবিক রাখতে তাকে ম্যানেজ কারা চেষ্টা করেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভয়ও পান।
>>> যদি আপনি এমন একটি সম্পর্কে আটকে থাকেন, যেখানে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার লেশমাত্র নেই, সে ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আপনার দেহের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এ ধরনের সম্পর্ক আপনার দেহের ওপর চাপ, দুশ্চিন্তা ও হতাশা সৃষ্টি করে।
>>> স্বামী বা স্ত্রীর ভয়ে ভীত হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার স্বামী বা স্ত্রীকে বিষয়টি জানান। তবে ক্রোধ, আক্রমণ, সংঘর্ষ, ক্ষতি, ব্ল্যাকমেইল ঠিক কোনো কারণে আপনি আপনার সঙ্গীকে ভয় পাচ্ছেন, সে কারণটা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।
>>> যদি আপনার সঙ্গী উগ্রভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়, সে ক্ষেত্রে আপনি কারো সাহায্য নিতে পারেন।