রোজই কি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগছেন? এর পিছনে থাকতে পারে জীবনযাত্রার নানা কারণ। জেনে নিন, কোন কোন কারণে এই সমস্যা হতে পারে।
কেন অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়? পাকস্থলীর গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থিগুলি থেকে বেশি মাত্রায় অ্যাসিডের ক্ষরণ হলে তাকে অ্যাসিডিটির সমস্যা বলে। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞ লভনীত বাত্রা।
অত্যাধিক গরম পানীয় খাওয়া: অনেকেই চা বা কফির মতো পানীয় ছাড়া থাকতে পারেন না। এই ধরনের পানীয় পান না করলে কাজের চাপ বা মানসিক চাপের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে পারেন না।কিন্তু এই ধরনের পানীয় অতিরিক্ত গরম অবস্থায় খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এই ধরনের পানীয় প্রচণ্ড গরম অবস্থায় পান করা প্রথমেই ত্যাগ করুন।
এক এক দিন এক এক সময়ে খাওয়া: খাবার হজম করার জন্য পাকস্থলী হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি করে। এক এক দিন এক এক সময়ে খাবার খেলে আপনার পেটে যে অ্যাসিড তৈরি হয়, তা পেটেই জমা হয়ে থাকে। এর ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
ধূমপান এবং উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া: ধূমপান গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্সের আশঙ্কা বিপুল পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। এর সঙ্গে যখন যুক্ত হয় উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার তখন অ্যাসিডিটির আশঙ্কা আরও বাড়ে।
খাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পড়া: খাবার খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়লে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়তে পারে। বিশেষ করে চিৎ হয়ে শুলে এই সমস্যা বেশি মাত্রায় দেখা দেয়। তাই শুয়ে পড়ার কমপক্ষে ৩ ঘন্টা আগে খাবার খান।
রাতে বেশি মাত্রায় ফোন ঘাঁটা: এই সমস্যাটির কথা অনেকেই জানেন না। রাতে বেশি ফোন ঘাঁটলে ঘুমের অভাব হতে পারে। তাতে পেটে আরও অ্যাসিড তৈরি হতে পারে।