বাইরের খাবারের প্রতি আসক্তি কম বয়সিদের মধ্যে ডেকে আনছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে লিভার। আর লিভারেই যখন গণ্ডগোল দেখা দেয়, তখন শরীরের বাকি কার্যকারিতাতেও বাধা তৈরি হয়। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে বাঁচতে গেলে লিভারকে ভাল করে ডিটক্সিফাই করা জরুরি।
এতে এড়াতে পারবেন জন্ডিস, হেপাটাইটিস, লিভার ফেলিয়র ও লিভার ক্যানসারের মতো মারণ রোগ। লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিন।
লেবু ও হলুদের জল: হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জল গরম করে নিন। এতে লেবুর রস ও হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। রোজ সকালে এই পানীয় পান করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে যাবে। পাশাপাশির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হবে।
হলুদ ও মেথির জল: হলুদ ও মেথি দু’টো উপাদানের মধ্যেই শরীরকে ডিটক্সিফাই করার ক্ষমতা রয়েছে। এক গ্লাস জলে আধ চা চামচ মেথি ও হলুদ ফুটিয়ে নিন। ওই জল ঠান্ডা করে পান করুন। এতে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকি ওজনও কমবে।
আদা চা: শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে আদা উপযোগী। রোজ আদার রস খেলে এটি লিভার ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। এছাড়া আদার চা খেতে পারেন। এক কাপ জলে আদা থেঁতো করে ফুটিয়ে নিন। এতে লেবুর রস ও দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এই পানীয় আপনাকে বদহজমের সমস্যা থেকেও দূরে রাখবেন।
রসুন: রোজের ডায়েটে এক কোয়া করে রসুন রাখুন। রসুন লিভারের এনজাইমকে সক্রিয় করে শরীর থেকে টক্সিন বের করে সাহায্য করে। রোজ কাঁচা রসুন খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমে যায়। এমনকি রসুন খেলে সংক্রমণের হাত থেকেও সুরক্ষিত থাকা যায়।
লাউয়ের রস: ওজন কমাতে অনেকেই লাউয়ের রস খান। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড ও শীতল রাখে। লাউয়ের রস লিভারে জমে থাকা টক্সিন বের করে দিতেও সক্ষম। রোজ সকালে খালি পেটে লাউয়ের রস পান করুন।