সম্প্রতি বঙ্গোসাগড়ে হয়ে যাওয়া সিত্রাং ঝড়ের প্রভাবে পাবনা সদরের বিভিন্ন চরঅঞ্চলের কলা চাষিদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। আকস্মিক এই ঝড় বাতাসের তান্ডবে চরের প্রায় কয়েক হাজার বিঘা কলার বাগান তসনস হয়েগেছে। ধরন্ত কলাগাছ গুলো উপরে ভেঙ্গে পরে আছে কৃষকরে ক্ষেতেই। দীর্ঘ মেয়াদি এক ফসলের এই কৃষি ফলন নষ্ট হওয়াতে এই অঞ্চলের কৃষকদের মাথায় হাত পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকেরা জানান, বিভিন্ন সমিতি থেকে লোন আর ধারদেনা করে লাভের আশায় কলা চাষ করে ছিলেনতারা। কিন্তু সেই কলার বাগান ঝড়ের কবলে পরে নষ্ট হয়ে গেছে। নিজেদের জমানো আর কষ্টার্জির্ত অর্থ দিয়ে কলার বাগান করেছিলেন তারা। কিন্তু সেই কলার বাগানে হানা দিয়েছে প্রাকৃতিক ঝড় বাতাস সিত্রাং। এখন জমি থেকে নষ্ট কলাগাছ অন্যত্র সরিয়ে পূণরায় জমি চাষাবাদ করবে সেই অর্থও তাদের কাছে নেই। তাই সরকার ও কৃষি বিভাগের দিকে তাকিয়ে আছেন এই অঞ্চলের ক্ষতি গ্রস্থ কৃষকরা।
সরজমিনে সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের শেষ প্রান্ত পাবনা ও কুষ্টিয়া জেলার সীমান্তবর্তী চরভবানীপুর এলাকায় গিয়ে চোখে পরে মাঠেরপর মাঠ ক্ষতিগ্রস্থ কলার বাগান। মাটিতে নেতিয়ে পরা কলার গাছ কেটে পরিস্কার করার চেষ্টা করছে কৃষকরা। এই ভবানীপুর মৌজায় চর ভবানিপুর, খাসচর ও গঙ্গাধরদিয় এই বিশাল চর অঞ্চলের যেদিকে চোখ যাবে শুধু কলার বাগান। এই অঞ্চলের উৎপাদিত কলা স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। কৃষকদের দেয়া তথ্য মতে প্রায় ২০কোটি টাকা সমপরিমান কলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে তাদের। তবে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কোন কৃষি বিভাগেরে দায়িত্বশীল কাউকে চোখে পরেনি।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আর কৃষকরা জানান পাবনা কৃষি বিভাগকে লোকদের মৌখিক ভাবে জানানো হয়েছে। তবে ঝড়ের পরে দুইদিন অতিবাহিত হলেও সরকারের দায়িত্বশীল কোন কর্মকর্তারা এখনো সেখানে যায়নি। দূর্গম এই চর অঞ্চলের মানুষেরা অসহায়ের মত চেয়ে আছেন সহযোগিতার জন্য। নিজেদের শেষ সম্ভল জমানো অর্থদিয়ে তারা এই কলার বাগান করে এখন পথে বসার উপক্রম বলে জানান তরা।
তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছি সেটি মাঠপর্যায়েগিয়ে পরদির্শন করে তাদের তালিকা তৈরির জন্য বলা হয়েছে। তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য সরকারি সহযোগিতা প্রদানের জন্য চেষ্টা করা হবে। বিগত দিনগুলিতেও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রণোদনা ও সহযোগিতা করা হয়েছে।