সাধারণত ৪৫ থেকে ৫১ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ আসে। অনেক মহিলার ক্ষেত্রে মেনোপজ এর অনেক আগেই হয়ে যায়। ৪০ বছর বয়স হওয়ার আগেই পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এটি কোনও অস্বাভাবিক কারণ নয়।
মেনোপজ ৪০ বছর বয়সের আগেই হয়ে গেলে তাকে আর্লি মেনোপজ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আর্লি মেনোপজের কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। চিকিৎসকদের কথায়, শারীরিক কিছু কারণে এই ঘটনাটি ঘটতে পারে। এই সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
থাইরয়েডের সমস্যা - থাইরক্সিন হরমোন ক্ষরণ কমে গেলে হাইপোথাইরয়েডিজম রোগটি হয়। এটি সরাসরি পিরিয়ডের উপর প্রভাব ফেলে। এর জন্য অনেক সময় পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় এগিয়ে আসে। তবে এটি ছাড়াও থাইরয়েডের আরেকটি সমস্যা আর্লি মেনোপজ হওয়ার জন্য দায়ী। সেটি হল অটো ইমিউন থাইরয়েডাইটিস।
অটো ইমিউন থাইরয়েডাইটিস - প্রথমেই বলা ভালো, এই রোগটি সকলের হয় না। অটো ইমিউন রোগের বৈশিষ্ট্য হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরেরই সুস্থ কোশকে আক্রমণ করে। থাইরয়েডাইটিসে থাইরয়েড কোশগুলিকে আক্রমণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। যার ফলে থাইরক্সিনের ক্ষরণ কমে যেতে থাকে।.
ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে যাওয়া - ৩৫ বছর বয়সের পর থেকে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রাও কমতে থাকে। এর ফলে বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমতে থাকলে পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার সময়ও এগিয়ে আসে। অর্থাৎ আর্লি মেনোপজ হতে পারে।
সতর্কতা অবলম্বন - সতর্কতা অবলম্বনের জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এছাড়াও, পিরিয়ডে কোনও রকম অস্বাভাবিকতা দেখলে দ্রুত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।