২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৫:৪৫:০০ অপরাহ্ন


হতভাগ্য নারী মাতা মাতা হার ‘র লড়াইয়ের গল্প
এক্সক্লুসিভ:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৭-২০২২
হতভাগ্য নারী মাতা মাতা হার ‘র লড়াইয়ের গল্প হতভাগ্য নারী মাতা মাতা হার ‘র লড়াইয়ের গল্প


১৫ অক্টোবর, ১৯১৭। প্যারিসের সেন্ট লাজার কারাগার থেকে একটি ধূসর সামরিক গাড়িতে করে শহরের উপকণ্ঠে শ্যাতো দু ভিসেনেস-এ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বছর চল্লিশের এক মহিলাকে। শুনশান প্যারিসের রাজপথ দিয়ে ছুটে চলেছে গাড়ি। মহিলার সঙ্গে একই গাড়িতে চলেছেন দু’জন নান আর তাঁর আইনজীবী। গাড়ি যেখানে থামলো সেখানে মাটির দেয়ালের সামনে একটি খুঁটি পোঁতা। মহিলাকে দাঁড় করানো হল। ফায়ারিং স্কোয়াডের ১২ জন সৈন্য লাইন করে দাঁড়াল তাঁর সামনে। 

মহিলার পরনে ছিল লম্বা কোট আর মাথায় ছিল চওড়া কিনারওয়ালা ফেল্টের টুপি। পড়ন্ত রূপের আভা সারা শরীরে। এক সৈনিক চোখ বাঁধতে এলে হাত নাড়িয়ে থামিয়ে দিলেন তিনি। ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন নিজের শেষটুকু স্বচক্ষেই দেখে যেতে চান। তাও জোর করে একটা হাত বাঁধা হল তাঁর। খোলা অপর হাত দিয়েই আইনজীবীর উদ্দেশ্যে হাসিমুখে হাত নাড়লেন। বললেন, ‘‘আমি প্রস্তুত।’

আর দেরি করা যাবে না। ফায়ারিং স্কোয়াডের কমান্ডার দ্রুত হাতে নীচে নামালেন তয়োয়ার। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে এল গরম সিসার গুলি। হাত বাঁধা অবস্থাতেই হাঁটু মুড়ে ঢলে পড়লেন মহিলা। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এক সেনা অফিসার রিভলভার হাতে তাঁর দিকে এগিয়ে গেলেন। গুলি চালালেন নিথর কপালে। শেষ হল এক লাস্যময়ী গুপ্তচরের জীবন, ইতিহাসের এক অলীক কুনাট্য রঙ্গ।

কাগজে কাগজে সবিস্তারে ছাপা হল তাঁর মৃত্যুর খবর। বিশ্বাসঘাতকের তো এমনই শাস্তি হওয়া দরকার। খুশি সরকার, খুশি জনগন। আর এই চেনা চিত্রনাট্যের আড়ালে হারিয়ে গেল এক হতভাগ্য নারীর লড়াইয়ের গল্প। সত্যিই কি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন তিনি? না কি, নিছক রাজনীতির বলি হয়েছিলেন এই অপরূপা লাস্যময়ী সুন্দরী। হ্যাঁ, সেই নারী কুখ্যাত মার্গারেটা গের্ট্রুডা জেল ওরফে মাতা হারি।

পুরো নাম মার্গারিটা গের্ট্রুডা জেল। জন্ম ১৮৭৬ সালে, নেদারল্যান্ডসের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। বড় ঘরের মেয়ে, প্রথম সন্তান, ছোট ছোট তিন ভাইয়ের দিদি। বাবা মায়ের চোখের মণি ছিলেন ছোট্ট মার্গারিটা। কিন্তু শৈশব থেকেই দুর্ভাগ্য যেন ছায়াসঙ্গী। তাঁর যখন মাত্র ১৩ বছর বয়স, তখন ব্যবসায় বিরাট লোকসান করে প্রায় দেউলিয়া হয়ে যান বাবা। যার প্রভাব পড়ে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনেও। চোখের সামনেই বাবা-মায়ের বিয়ে ভেঙে যেতে দেখেন কিশোরী মার্গারিটা। তার ঠিক দুবছর পরই আচমকা মায়ের মৃত্যু আরও অসহায় করে দেয় তাঁকে। জীবনে বিপর্যয় নেমে আসে।

মায়ের মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন বাবা। মার্গারিটাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁর গডফাদার মিস্টার ভিসারের কাছে। বছরকয়েক পরে মাথার উপর থেকে সরে যায় সেই আশ্রয়ও। সব ছেড়ে হেগ শহরে মামারবাড়ি চলে আসেন মার্গারিটা।

দিনের পর দিন স্নেহহীন, বন্ধুহীন নিঃসঙ্গ জীবন। দম বন্ধ হয়ে আসছিল মার্গারিটার। আচমকাই একটা ডাচ সংবাদপত্রের ‘পাত্রপাত্রী’ কলামের বিজ্ঞাপনে চোখ পড়ে তাঁর। চিঠি লিখে বসেন এক ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপনের ঠিকানায়। উত্তরও আসে। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই প্রায় দ্বিগুণ বয়সী ক্যাপ্টেন রুডলফ জন ম্যাকলেওডকে বিয়ে করেন মার্গারিটা। ইস্ট ইন্ডিয়া আর্মির ক্যাপ্টেন ছিলেন রুডলফ। কর্মসূত্রে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে হত তাঁকে। প্রথম প্রথম সঙ্গী হতেন মার্গারিটাও। কিন্তু যৌন অসুখে ভোগা, যৌন বিকারগ্রস্ত রুডলফের সঙ্গে মার্গারিটার দাম্পত্যজীবন ক্রমেই বিষিয়ে ওঠে। ঝগড়া, মারামারি, শরীরী নির্যাতন — এ সবই ছিল দৈনন্দিন ঘটনা। শোনা যায়, সেই বুড়ো বরের একটি বাঁধা রক্ষিতাও ছিল। সেই সময়কার এক চিঠিতে মার্গারিটা লিখছেন, ‘রুডলফ রুটি কাটার ছুরি নিয়ে আমাকে তাড়া করেছে। খুন করতে চায়।’ বোঝা যায়, এই সময় থেকেই চরম নিরাপত্তাহীনতায় শিকার সে। 

ততদিনে দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মার্গারিটা। এক ছেলে, এক মেয়ে। কিন্তু রক্তের দোষ যাবে কোথায়? বাবার যৌনরোগের বলি হয় তাঁদের ছেলে। ছেলের মৃত্যুর কিছুদিন পর সিফিলিস রোগ ধরা পড়ে মেয়েরও। মেয়েকে কোনওভাবে প্রাণে বাঁচাতে পারলেও নিজের কাছে ধরে রাখতে পারেননি। টাকার অভাবে সন্তানের উপর মায়ের অধিকারটুকুও ছেড়ে দিতে হয়। শেষমেশ দাম্পত্যে ইতি টেনে প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় পথে নামেন মার্গারিটা।

বেঁচে থাকার তাগিদে ভাসতে ভাসতে কীভাবে যেন প্যারিসে চলে আসেন মার্গারিটা। শিল্প, সৌন্দর্য আর লাস্যের শহর প্যারিস। প্রথমে এক সার্কাসপার্টিতে, তারপর এক ডান্স ট্রুপে কাজ জুটে যায় মার্গারিটার। নাচের দুনিয়ায় পা রেখেই পিতৃদত্ত নাম বদলে ফেলেন তিনি। নিজেকে পরিচয় দিতেন জাভার রাজকন্যা মাতাহারি বলে। তাঁর গমরঙা শরীর, দিঘল চোখ, গভীর নাভি আর মোহময় নাচের জাদুতে ঘোর লাগিয়ে দিতে পারতেন মাতাহারি। স্বামী রুডলফের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরার সময় নাচটা ভালোই রপ্ত করেছিলেন তিনি। এবার সেই নাচের মুদ্রাই খুলে দিল অন্নসংস্থানের পথ।

নাচের ভেতর নগ্নতাকেও শিল্পের রূপ দিয়েছিলেন মাতা হারি। ভরা সভায় নাচতে নাচতে একটা একটা করে খুলে ফেলতেন পোশাক। হাততালি আর শিসের শব্দে কান পাতা দায় হত। সেই দৃশ্যের সাক্ষী হতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসত মানুষ। ১৮ থেকে ৮০, উপচে পড়ত দর্শকাসন। একসময় সামান্য কটিবস্ত্র আর কাঁচুলি ছাড়া শরীরে প্রায় সুতোটি থাকত না মাতাহারির। শুধু হাতে আর মাথায় কিছু অলংকার শোভা পেত।

ছোট্ট জীবনেই মাতা হারি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন অসংখ্য বিখ্যাত পুরুষের। সেসময় কাগজে কাগজে শুধু তাঁরই চর্চা, শুধু তাঁকে নিয়ে লেখালেখি। সেই সঙ্গে যোগ হয় তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানারকম রসালো গুঞ্জন। সফল আর চর্চিত হওয়ার লোভে তৎকালীন নৃত্যশিল্পীদের অনেকেই মাতা হারিকে অনুকরণ করা শুরু করে। প্রায় রোলমডেল হয়ে ওঠেন তিনি। তবে সমালোচকদের মতে, নাচগানে মাতা হারি খুব যে পারদর্শী ছিলেন, তা নয়। শরীর প্রদর্শন, আর নাচের মধ্যে দিয়ে যৌন সুড়সুড়ি তাঁর সাফল্যের কারণ।

কিন্তু এ ভাবে আর কত দিন! মাতা হারির উত্তেজক নাচেও একসময় অরুচি এল দর্শকের। নর্তকী হিসাবে জনপ্রিয়তায় যত ভাঁটা পড়তে লাগল, ততই নতুন নতুন পুরুষ সঙ্গীর ওপর নির্ভরশীল হলেন তিনি। সঙ্গী হল কেচ্ছা, দুর্নামও। মাতা হারি অবশ্য সেসবের পরোয়া করেননি কখনও। টাকার জন্য সমাজের উচু স্তরের মানুষ, মন্ত্রী, জেনারেল, শিল্পপতি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব— অনেকের সঙ্গেই সেসময় শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

সালটা ১৯১৪। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। মারণযুদ্ধের বিভীষিকার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে বিশ্বের জনগন। সেবার বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়নি নেদারল্যান্ড। ফলে স্বাধীন ডাচ নাগরিক হিসেবে ইউরোপের প্রায় সব শহরেই যাতায়াত করার অধিকার ছিল মাতা হারির। হঠাৎ-ই একটি শোয়ের সূত্র ধরে মাতাহারির সঙ্গে যোগাযোগ হয়ে যায় কার্ল ক্রোমার নামে এক ভদ্রলোকের। এই কার্ল ক্রোমার ছিলেন জার্মানির গোয়েন্দা সংস্থার বেশ হোমড়াচোমরা একজন। তিনি এক আশ্চর্য প্রস্তাব দিয়ে বসেন মাতা হারিকে। নাচ, লাস্য বা শরীরী সঙ্গ নয়, গুপ্তচরবৃত্তির প্রস্তাব। সঙ্গে মোটা টাকার লোভও। দেশে বিদেশে মাতা হারির জনপ্রিয়তা তখন পড়তির দিকে, কমে এসেছে শোয়ের ডাক, তার উপর এই যুদ্ধ পরিস্থিতি। টাকার প্রয়োজন নিশ্চয়ই ছিল। মোটকথা জার্মান গোয়েন্দা সংস্থার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেননি তিনি। ‘H-21’ এই কোডনেম আর মিশনের জন্য অগ্রিম মোটা টাকা নিয়ে ফিরে আসেন প্যারিসে।

গুপ্তচর হওয়ার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল কী না বলা শক্ত। কিন্তু কীভাবে যেন ব্রিটিশ আর ফ্রান্সের পুলিশের কাছে সন্দেহজনক হয়ে ওঠে তাঁর গতিবিধি। কেবলমাত্র সন্দেহের জেরেই মাতা হারির বিরুদ্ধে আনা হয় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ। সেসময় মাতা হারির ওঠাবসা ছিল নানা দেশের রাজনৈতিক চাঁইদের সঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য জেনে যাওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব নয়। এইসব সূত্র ধরেই আরও জোরালো হয়ে ওঠে মাতা হারির বিরুদ্ধে অভিযোগ।

মিলে যায় প্রমাণও। বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান সামরিক কর্মকর্তা আরনল্ড ভন কাল্লের পাঠানো একটি টেলিগ্রাম ডিকোড করেন ফরাসি গোয়েন্দারা। তাতে দেখা যায় ‘এজেন্ট H-21′ বলে একজনের উল্লেখ আছে। সেই টেলিগ্রাম থেকেই পাওয়া যায় টাকা আদানপ্রদানের তথ্য, মাতা হারির ঠিকানা, ব্যাঙ্ক ডিটেইল। ফরাসি গোয়েন্দাদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যায় যে এই ‘এজেন্ট H-21′ আর কেউ নয়, স্বয়ং মাতা হারি-ই। (Spy Mata Hari)

১৯১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে নিজের হোটেল রুম থেকে গ্রেফতার করা হয় মাতা হারিকে। ২৪ জুলাই তার বিচারের কাজ শুরু হয়। যুদ্ধের গোপন খবর বিক্রি করে ৫০,০০০ ফরাসি সৈন্যকে অন্যায়ভাবে খুন করার অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় তাঁকে। কিন্তু বিচারের সময় সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা যায় যে তিনি ছিলেন ডাবল এজেন্ট অর্থাৎ জার্মান ও মিত্রবাহিনী উভয় পক্ষই গুপ্তচর হিসেবে কোনও না কোনও সময় ব্যবহার করেছে তাঁকে।

বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন মাতা হারি বারবার অপরাধ অস্বীকার করেন। জোর গলায় দাঁড়িয়ে খণ্ডন করেন গুপ্তচর হওয়ার গ্লানি। আদালতে দাঁড়িয়ে তিনি বারবার বলেছেন, “বারবণিতা? ঠিক আছে। গুপ্তচর? কখনোই না।”

দিনের পর দিন চলল অকথ্য জেরা। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য পরিচিত নানা জায়গায় এসময় অজস্র চিঠি লেখেন মাতা হারি। কিন্তু ততদিনে সামগ্রিক পরিস্থিতি চলে গেছে তাঁর প্রতিকূলে। এতদিন যেসব ক্ষমতাশালী মানুষেরা গোপনে সম্পর্ক রেখে গেছেন তাঁর সঙ্গে, আসঙ্গকামনা করেছেন, দিয়েছেন প্রেমপ্রস্তাব- এই চরম বিপদের দিনে মাতা হারির পাশে এসে দাঁড়াল না তাঁদের একজনও। 

ফ্রান্স খুব ভালোই জানত, মাতা হারির বিরুদ্ধে সেই জার্মান গোয়েন্দাকর্তার পাঠানো রেডিয়ো-বার্তা ছাড়া আর কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। তাই বিচার চলাকালীন মাতা হারির উকিলকে কার্যত সাক্ষীগোপাল করে রাখা হল। জেরা করতে দেওয়াই হল না। যে করেই হোক মাতা হারিকে জার্মানির গুপ্তচর প্রমাণ করতে তখন বদ্ধপরিকর তাঁর প্রিয় দেশ। বিচারের নামে শুরু হল প্রহসন। অবসাদে, একাকীত্বে, জেরার ক্লান্তিতে ভেঙে পড়লেন মাতা হারি। অনন্যোপায় হয়ে স্বীকার করে নিলেন কার্ল ক্রোমার নামের সেই জার্মান কনসালের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা। ব্যস আর কী! ৫০০০০ হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। এরপর ১৯১৭ সালের ১৫ অক্টোবর তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

অসুখী দাম্পত্য, সন্তানের মৃত্যু, অসতী দুর্নাম, কলঙ্ক- সারাজীবনে কম সহ্য করেননি মাতা জারি। সংসারের সুখ পাননি। মেয়েকেও কাছে পাননি সারাজীবন। পুরুষশাসিত পৃথিবীতে একা লড়াই করে তুলে ধরেছেন নিজেকে। হোক না লাস্যে, শরীরী বিভঙ্গে- তবু সেই শরীরী পরিচয়টুকুও তো তাঁর নিজস্ব অর্জন। তিনি যাই হোন, তিনি বিশ্বাসঘাতক ছিলেন না। এ কথা বিচার চলাকালীন নিজেই বারবার বলেছেন মাতা হারি। কিন্তু তাঁর কথায় কর্ণপাত করেনি পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। করবেই বা কেন, বিশ্বযুদ্ধের কলঙ্ক মোছার জন্য এমনই এক খলনায়িকারই তো প্রয়োজন ছিল তাদের। তাদের দেশপ্রেমের হাস্যকর অর্ধকল্পিত কাহিনি আর সংলাপে প্রাণ দিতে তো পারতেন একজনই। ভাগ্যবিড়ম্বিত দুয়োরানি মার্গারিটা গের্ট্রুডা জেল ওরফে মাতা হারি।