ছোট্ট একটা প্রবেশ মুখ। হামাগুড়ি দিয়ে কোনও মতে প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু এখানে কেউ প্রবেশ করে না, কারণ পা রাখলেই মৃত্যু নিশ্চিত।
মানুষ তো ছাড়, কোনও প্রাণী, এমনকী কীট-পতঙ্গও বাঁচতে পারে না এখানে। যাই-ই প্রবেশ করে এই গুহায়, তাকেই গিলে খায় পৃথিবী। এই কারণেই এই গুহার নাম 'কুয়েভা দে লা মুয়েরতা', যার ইংরেজি তর্জমা করলে দাঁড়ায় 'দ্য কেভ অব ডেথ'। অর্থাৎ মৃত্যুর গুহা।
আর পাঁচটা সাধারণ গুহার মতো দেখতে এই গুহার ভিতরেই রয়েছে মৃত্য়ুফাঁদ। সতর্কবার্তা বলতে, গুহার বাইরে শুধু এক জায়গায় লেখা রয়েছে, "ডেঞ্জার! নো ট্রেনপাসিং বিয়ন্ড দিজ পয়েন্ট"। অর্থাৎ এই স্থানের পর আর এগোনো যাবে না। কিন্তু কেন?
এই মৃত্যুর গুহা রয়েছে কোস্টা রিকায়। স্প্যানিশ ভাষায় লেখা 'কুয়েভা দে লা মুয়েরতা'-র অর্থ হল মৃত্যুর গুহা। ছোট্ট এই গুহার মধ্যে ঢুকলেই মৃত্য়ু নিশ্চিত, তবে তা অল্প জায়গার জন্য নয়। এর পিছনে রয়েছে অন্য কারণ।
৬ ফুট গভীর ও ১০ ফুট দীর্ঘ এই গুহায় কোনও বিষাক্ত গাছ বা ভয়ঙ্কর প্রাণী লুকিয়ে নেই। এখানে রয়েছে কার্বন ডাই অক্সাইড। এবার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে যে কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণে মৃত্যু হবে কেন।
আসলে এই গুহার মেঝেতে কার্বন ডাই অক্সাইড বা CO2-র ঘনত্ব এতটাই বেশি যে তার সংস্পর্শে কিছু আসলেই তৎক্ষণাত মৃত্যু হয়।
২০২২ সাবে এক ইউটিউবার দাবি করেন, এই গুহা থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কেজি কার্বন ডাই অক্সাইড বের হয়। অল্প জায়গার মধ্যে অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণ বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড থাকার কারণেই কোনও প্রাণ প্রবেশ করা মাত্রই তার মৃত্যু হয়।
কোস্টা রিকার এই মৃত্য়ু গুহা পোয়াস আগ্নেয়গিরির কাছে অবস্থিত। এই গুহায় আগুন জ্বেলেও পরীক্ষা করা হয়েছে যে এখানে প্রবেশ করা সম্ভব কি না।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গুহার মাটির সংস্পর্শে আসা মাত্রই মশালের আগুন নিভে যাচ্ছে। পরে বের করে আবার মশাল জ্বালালে তা আবার জ্বলে উঠছে। অর্থাৎ গুহার ভিতরের অংশেই কার্বন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব ও পরিমাণ এত বেশি, যার কারণে আগুনও নিভে যায়।