বৃষ্টির লক্ষণ নেই, তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই বাড়ছে। বাতাসে শুষ্ক ভাব এবং প্রখর তেজে কেবারেই কাহিল অবস্থা মানুষের । শুধু পানি খেয়েও যেন শান্তি পাচ্ছে না মানুষ। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা ক্রমশ কমছে। ফলেই দুর্বলতা গ্রাস করছে মানবদেহে। পানি খেলে কিন্তু একেবারেই সমস্যার সমাধান হবে না। সতেজ পানীয় খাওয়া খুব দরকারী।
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ নিতিকা কোহলি বলছেন, গরমে জলের সঙ্গেই শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি অবশ্যই দরকার। তার কারণ গরমে খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই কমে যায় এবং সেই কারণেই নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান শরীরে থাকতে পারে না। এবং শরীর একবার দুর্বল হয়ে গেলে কিন্তু খুব মুশকিল! রইল দুটি অসাধারণ পানীয় রেসিপি।
ডাবের জল তো অনেক খেয়েছেন। কিন্তু এতে অল্প টুইস্ট যোগ করলে কেমন হয়? অল্প কিছু পুদিনা পাতা হালকা বেঁটে নিতে হবে। আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে বেসিলের বীজ কিংবা চিয়া বীজ। সেগুলিকে, ডাবের জলের সঙ্গে মিশিয়ে সামান্য নুন ছড়িয়ে পান করলে যেমন তৃপ্তি পাওয়া যাবে তেমনই কিন্তু শরীরের পক্ষেও উপকারী! এতে পুদিনার ঠান্ডা ভাব যেমন শরীরকে ভাল রাখবে তেমনই, ডাবের জল ক্লান্তি দুর করতে পেট ঠান্ডা করতে যথেষ্ট কার্যকরী।
দ্বিতীয়টি আমের শরবত, কিন্তু একটু অন্য ধাঁচের! যেমন? কাঁচা পাকা আম কিন্তু এখন পাওয়া যেতেই পারে। তার সঙ্গে অল্প খেজুর, সূর্যমুখী বীজ এবং বেসিল বীজ মিশিয়ে ভাল করে মিক্স করে নিলে, তাহলেই কিন্তু কেল্লাফতে। বলা উচিত, একধরনের স্মুদি এটি, তবে অবশ্যই শরীরের পক্ষে লাভদায়ক।
গরমে রাস্তায় এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি না করলেই ভাল! সঙ্গে অবশ্যই গ্লুকোজ কিংবা লেবুর জল সঙ্গে রাখুন। ঠান্ডা জলের ঝাপটা অবশ্যই মুখে দিন। ছাতা ছাড়া না বেরনো ভাল। এবং সবথেকে বড় কথা বেলা ১২টা থেকে ৪টে পর্যন্ত কিছুদিন না বেরলেই ভাল।
রাজশাহীর সময় / এম আর