বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, রান্নায় এবং অ-ভোজ্য উদ্দেশ্যে সরিষার তেল ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে।
সরিষার তেল ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং এটি স্বাস্থ্যগত সুবিধায় পূর্ণ। তেলটি মনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (এমইউএফএ) দিয়ে বোঝাই যা দেহে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয়। সরিষার তেল আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা আমাদের কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে।
সরিষার তেলের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি ক্ষতিকারক সংক্রমণ থেকে হজমশক্তিকে রক্ষা করে।
সরিষার তেলে থাকা ওমেগা ৩, ওমেগা ৫ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ই শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর মান সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সরিষার তেলের ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতার কথা প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া-
ইমিউনিটি বুস্টার হিসাবে কাজ করে: সরিষার তেলের ঝাঁঝালো উপাদান শ্লেষ্মা এবং অবরুদ্ধ সাইনাস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। রসুন ও লবঙ্গ দিয়ে সরিষার তেল গরম করে পা এবং বুকে মালিশ করলে সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
লোহিত রক্তকণিকা শক্তিশালী করে: প্লাজমা, কোষের লিপিডস এবং কোষের ঝিল্লির উপাদান হিসাবে বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চর্বিগুলোর একটি প্রধান উৎস সরিষার তেল। এই তেল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে এবং লোহিত রক্তকণিকার ঝিল্লি গঠনের উন্নতি করে।
কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ প্রভাব: গবেষণায় দেখা গেছে যে, সরিষার তেল খেলে অ্যারিথমিয়াস, হার্ট ফেইলিও এবং এনজাইনা হ্রাস পেয়েছে। কার্ডিওভাসকুলার ডিজঅর্ডারে আক্রান্তদের জন্য সরিষার তেল স্বাস্থ্যকর হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তচাপ এবং প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।
কাশি এবং সর্দি হ্রাস করতে সহায়তা করে: প্রাচীনকাল থেকেই সরিষার তেল কাশি, সর্দি এবং অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাসের অ্যালার্জি প্রশমিত করতে ব্যবহৃত হয়। সরিষার তেল দিয়ে স্টিম নিলে তা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। সরিষার তেল সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
জয়েন্টে ব্যথা এবং বাত থেকে মুক্তি দেয়: সরিষার তেল নিয়মিত মালিশ করলে তা পেশী এবং জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। সরিষার তেলে থাকা ওমেগা ৩ আর্থ্রাইটিসের কারণে সৃষ্ট কঠোরতা এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
রাজশাহীর সময়/জেড