অনলাইন ডেস্ক: আসন্ন রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে এখন থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে সরকার। ওই সময়ে দ্রব্যমূল্য ঠিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বলেন ‘ডিসিদের বলেছি, সামনে রমজান মাস আসছে, কিছু কিছু জিনিসের দাম আমরা ঠিক করে দেই। সেগুলো কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে। সে সময় যেন তারা খুব শক্ত ভূমিকায় থাকেন, আইনগত ব্যবস্থা যেন নেন।’
রাজধানীর ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনে অংশ নিয়ে বুধবার সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
কোরবানি ঈদের সময় চামড়া কেনাবেচা ইস্যুতেও ডিসিদের শক্ত অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘কোরবানির সময় চামড়া কেনাবেচার বিষয়টি যেন তদারকি করেন। কেউ যাতে দাম থেকে বঞ্চিত না হন।’
ডিসিদের সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিসিদের ওপর আমাদের অনেকখানি নির্ভরতা আছে। জিনিসপত্র যখন মফস্বল থেকে আসে চাঁদাবাজিতে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, দাম যাতে না বাড়ে, মধ্যস্বত্বভোগী যাতে কমিয়ে আনা যায়, কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায়- এসব ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।’
এ সময় ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়েও কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ২০ লাখ টন ভোজ্যতেল দরকার হয়। দেশে ২ লাখ টন উৎপাদিত হয়। বাইরে থেকে তেল আনতে হয় বলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বাড়ে, তখন দেশেও এর প্রভাব পড়ে। এখন তেলের কনটেইনারের দাম যেটা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিল, সেটার দাম ৮-১০ হাজার হয়েছে।
‘যার ফলে দামের ওপর প্রভাব পড়ে। ফলে দেড়-দুই মাস পর পর বসে দাম অ্যাডজাস্ট করতে হচ্ছে। এটা না করলে সামনে রমজান মাস তারা তো এলসি ওপেন করবে না, সেটা আরও ভয়াবহ হবে। এ জন্য তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আগামী মাসের ৬-৭ তারিখে বসে আন্তর্জাতিক বাজার এবং এর সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে দাম নির্ধারণ করব। এ বিষয়ে আজ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ব্যবসায়ীদের এলসি না খোলার প্রবণতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘যদি ব্যবসায়ী দেখে লস হবে, তখন কী সরকার তাকে ফোর্স করতে পারে? এ জন্য তাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে তারা যাতে বেশি লাভ করতে না পারে। লস দিয়ে তারা তো আমদানি করবে না।’