২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:২০:৫১ পূর্বাহ্ন


আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে রাণীশংকৈলে বড়দিনের উৎসব পালিত
হুমায়ুন কবির, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১২-২০২৪
আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে রাণীশংকৈলে বড়দিনের উৎসব পালিত আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে রাণীশংকৈলে বড়দিনের উৎসব পালিত


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হয়েছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিস্ট এদিন বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। 

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে"শুভ বড়দিন" হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিশ্বাস করেন,সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

সারাদেশের মতো রাণীশংকৈল উপজেলার খ্রিস্টান ধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয়, ভাবগাম্ভীর্য আচারাদি, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করেন।

এ উপলক্ষ্যে উপজেলার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ৪০টি ধর্মীয় উপাসনালয় (গির্জা) রঙিন সাজে সাজানো হয়েছে। এর আগে  মঙ্গলবার(২৪ ডিসেম্বর)সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জায় আলোকসজ্জার পাশাপাশি রাত সাড়ে ৭টা থেকে প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বড় দিনের আনুষ্ঠানিকতা। বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের রানীশংকৈল শাখার সভাপতি, গোপাল মুরমু সুগা জানান, বড়দিন উপলক্ষ্যে গির্জায় অনুষ্ঠিত বিশেষ প্রার্থনা আয়োজন করা হয়েছে।সকাল থেকেই খ্রিষ্টান ধর্মালম্বী শিশু-নারী ও পুরুষেরা গির্জায় গিয়ে সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হয়ে আগামী দিনের সুখের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন। তিনি আরও জানান, এবার উপজেলার ৪০টি গির্জায় ২৫০ টি পরিবারের প্রায় ১০০০ জন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছেন। এবং কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।  

রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক জানান, উপজেলার প্রতিটি গির্জায় উৎসব- মূখর পরিবেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা নির্বিঘ্নে বড়দিন পালন করছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সদস্যদের প্রতিটি গির্জায় টহল জোরদার করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)রকিবুল হাসান জানান, আনন্দ উৎসমুখর পরিবেশে শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে দিয়ে সমস্ত উপজেলায় রড়দিনের উৎসব পালন করা হচ্ছে। আমি,থানার ওসি ও  সেনাবাহিনীসহ আমরা প্রায় সমগ্র উপজেলার গির্জাগুলো পরিদর্শন করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে বড়দিন পালিত হচ্ছে।