২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৪:১৫ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে এ্যাকোয়ারকৃত জমির টাকা উত্তোলনের পরও জমি দখলের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১২-২০২৪
রাজশাহীতে এ্যাকোয়ারকৃত জমির টাকা উত্তোলনের পরও জমি দখলের অভিযোগ রাজশাহীতে এ্যাকোয়ারকৃত জমির টাকা উত্তোলনের পরও জমি দখলের অভিযোগ


রাজশাহী মহানগরীতে এ্যাকোয়ারকৃত জমির টাকা গ্রহণের পরও অন্যের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোসাঃ বিথী বেগম (৪৬), বাদী হয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি একই থানার রাণী নগর সাধুরমোড় এলাকার মৃত আশরাফের স্ত্রী। 

অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, জেলা- রাজশাহী, থানা- বোয়ালিয়া, মৌজা-১৯৮ নং রামচন্দ্রপুর, আর.এস খতিয়ান নং- ১০৬৩, দাগ নং-১৭৭১/১৮৩৭, ১৭৭১/১৮৩৪ রকম- বাড়ী, জমির পরিমাণ-.২৬৬০ একর জমির মধ্যে অমিমাংসিত অংশ। আর মামলা চলমান রয়েছে উক্ত খতিয়ানে মোঃ রফিকুল ইসলামের প্রাপ্য অংশ .০১৩২ শতক জমি সরকারীভাবে এ্যাকোয়ার করা হয়। সেই এ্যাকোয়ারের টাকা গত ১০/০৬/২০০৯ তারিখে মোঃ রফিকুল ইসলাম ইতিপূর্বে উত্তোলন করেন।  তারপরও মোঃ রফিকুল ইসলাম (৬৫), তার দুই ছেলে মোঃ জনি ও মোঃ কনি ভুক্তভোগীর পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় জোরপুর্বক ইট, বালু নিয়ে লেবার মিস্ত্রি দিয়ে মিানা প্রাচীর নির্মান কাজ করে জমি দখল করেছে। বাদী তাদের নিষেধ করলে বাজে ভাবে কথাবার্তা বলে, খারাপভাবে গালিগালাজ করছে। ভুক্তভোগী নারীর ওয়ারিগণ বাহিরে থাকায় সুযোগে বিবাদীগণ অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে জমিতে সিমানা প্রাচীর নির্মান করে জোরপূর্বক জবর দখল করেছে। পরে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর), পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিবাদীদের কাজ বন্ধের জন্য নির্দেশ দেন। তৎক্ষনিক কাজ বন্ধ করলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পর বিবাদীগণ পূর্ণরায় গায়ে জোরে নির্মান কাজ চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী নারীর।

এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে বিবাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশের নির্দেশে কাজ বন্ধ করেছি। থানায় আমাদের জমির কাগজপত্র জমা দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে। 

তবে বিবাদীর ছেলে মোঃ কনি বলেন, পুলিশের নির্দেশে কাজ বন্ধ করেছি। কোর্ট বন্ধ থাকায় থানায় জমির কাগজ দিতে পারিনি। কোর্ট খুল্লে উকিলের কাছে থেকে কাগজ এনে থানায় জমা দিব।

জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), মোঃ মেহেদি মাসুদ জানান, বাদী মোসাঃ বিথী বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। আপাতত কাজ বন্ধ আছে। উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।