অবিবাহিত ছেলেদের টার্গেট করে বিয়ে করা, তারপর তাদের থেকে টাকা, গয়না লুট দুই তরুণীর নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই চক্রে জড়িত ছিল কয়েকজন পুরুষও। সবাইকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পুনম মিশ্র নামের এক তরুণী ছয়জনকে বিয়ে করেছিল। সপ্তমবারে আরেকজন পুরুষকে বিয়ে করতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, পুনম কনে সাজতো এবং সঞ্জনা গুপ্তা নামের অন্য এক তরুণীকে নিজের মা সাজাতেন। অন্যদিকে বীমলেশ ভার্মা এবং ধর্মেন্দ্র প্রজাপতি নামের দুই যুবক অবিবাহিত ছেলেদের খুঁজতেন। কাউকে খুঁজে পেলেই ডেটিং অ্যাপের নাম করে প্রথম পুনমের সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দিতেন। এরপর দুজনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠলে ছেলের থেকে ঘটকালি করার জন্য টাকা নিতেন বীমলেশরা।
একপর্যায়ে পুনম নিজে থেকেই তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। তারপর কৌশলে ছেলেটিকে রাজি করিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করতেন। শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ার পর প্রথম দিকে ভালো সেজে থাকতেন পুনম। কয়েকদিন পার হলেই সুযোগ খুঁজে বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনার গয়না নিয়ে গোপনে পালিয়ে আসতেন।
এভাবে ছয়বার এমন ঘটনা ঘটিয়ে পুনম সপ্তমবার বিয়ে করতে গিয়ে ধরা পড়েন পুলিশের জালে। ভুক্তভোগী শঙ্কর উপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি পুনমের নামে থানায় অভিযোগ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তি তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছিলেন বিয়ের খরচের জন্য। এ টাকার অঙ্ক দেখেই সন্দেহ হয় শঙ্করের।
শঙ্কর জানান, তিনি পুনমকে জানিয়েছিলেন বিয়ে করতে পারবেন না। এরপরই নাকি তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি এও বলা হয়, ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।
পুলিশকে শঙ্কর জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের হুমকিতে ভয় না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে কয়েকদিন আগেও উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সীমা ওরফে নিক্কিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধেও একাধিকবার বিয়ে তারপর ডিভোর্স চেয়ে ভরণপোষণের নামে মোটা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এইভাবে জালিয়াতি করে আসছিলেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি।