স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার পর সন্তানদের এবং নিজের গলা কাটলেন গৃহবধূ দিব্যা। কাটা গলা নিয়েই দরজা খুলে বেরিয়ে এলেন। তাঁকে দেখে আঁতকে উঠলেন পরিবারের লোকজন। ওই মহিলা এবং তাঁর সাড়ে চার বছরের পুত্রের চিকিৎসা চলছে আইসিইউতে। ১৮ মাসের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর চেন্নাইের পুল্লাপুরম এলাকার দিব্যার (৩১) বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে রামকুমারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা দু’জনে একই সংস্থার কর্মী। বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলে আসছিলো। দু’মাস আগে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে দুই ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে যায় গৃহবধূ। শনিবার স্বামীর সঙ্গে ফোনে তাঁর কথা হয়েছিল।
তার পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গিয়েও আর এক দফা ঝগড়া করেন দিব্যা। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর ফোন রেখে দেন তিনি। সন্তানদের নিয়ে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরিবারের লোকজন দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি শুরু করেছিলেন। কিছু ক্ষণ পর কাটা গলা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। দেখা যায়, নিজের সঙ্গে সঙ্গে দুই সন্তানের গলাতেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গলা চিরে দিয়েছে।
দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কিন্তু চিকিৎসকেরা ১৮ মাসের শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দিব্যা এবং তাঁর আর এক পুত্রের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। গৃহবধূর স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।