ইলন মাস্ক, যিনি প্রযুক্তির জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। তাই তাকে সকলেই এক নামে চেনেন। তবে সম্প্রতি মানবজাতির জন্য দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তারিখ ঘোষণা করেছেন তিনি। ২০২৬ এবং ২০২৮, এই দুটি বছর হবে পৃথিবী এবং মানবজাতির ভবিষ্যতের জন্য এক বিশাল মাইলফলক। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কী হতে পারে এই দুই বছরেই?
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির টার্গেট, মানবজাতিকে বহির্জাগতিক গ্রহে পাঠানো, যেটা একদিন না একদিন সফল হবে। ২০২৬ সালে স্পেসএক্স সম্ভবত তাদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মঙ্গল অভিযানে মানুষের যাত্রা শুরু করবে। স্টারশিপের মাধ্যমে মানুষ মঙ্গলে পৌঁছানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে পা, যা ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে বসবাসের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে দাঁড়াবে। এই অভিযান মানবজাতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হবে, যেখানে পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মধ্যে যাতায়াত সম্ভব হবে।
২০২৬ সাল নাগাদ, ইলন মাস্কের টেসলা হয়তো এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে। তাদের অটোপাইলট সিস্টেম, যা এখন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে, সেসময় সম্পূর্ণ স্ব-চালিত গাড়ি তৈরি হয়ে যেতে পারে। এটি শুধু গাড়ির চালককে মুক্তি দেবে না, বরং শহরের যানজট এবং পরিবহন ব্যবস্থার মধ্যে বিপ্লব ঘটাবে। টেসলা সম্ভবত তাদের রোবোট্যাক্সি পরিষেবা চালু করতে শুরু করবে, যা বিশ্বব্যাপী পরিবহন ব্যবস্থাকে পাল্টে ফেলবে।
ইলন মাস্কের নিউরোলিঙ্ক প্রকল্প, যা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটার সংযুক্ত করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সমস্যার সমাধান করতে চায়, ২০২৬ সালে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করতে পারে। এই বছরের মধ্যে, নিউরোলিঙ্ক প্রথম সফল চিকিৎসা ট্রায়াল শুরু করতে পারে, যেখানে নিউরোলিঙ্কের প্রযুক্তি ব্যবহার করে মস্তিষ্কের প্যারালিসিস বা অন্যান্য স্নায়ুজনিত সমস্যা সমাধান করা হবে।
২০২৮ সাল নাগাদ স্পেসএক্স নিয়মিত মঙ্গল অভিযানে মানব যাত্রা শুরু করবে। এটি একেবারে নতুন ধরণের স্পেস ট্যুরিজম বা মহাকাশে বসবাসের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। মঙ্গল গ্রহে একটি স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করার জন্য মানুষ প্রস্তুত হতে শুরু করবে, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে সেখানে জীবন ধারণ করা সম্ভব হবে। হয়তো ২০২৮ সালেই প্রথম মানুষরা মঙ্গলে বসবাস শুরু করবে, যার মাধ্যমে এক নতুন মহাকাশ যুগের সূচনা হবে। আপনি কী মনে করেন? এই ঘটনাগুলি বাস্তবে ঘটবে কি না?