পাবনার ঈশ্বরদীতে একদিনে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা দু’টি, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ও ট্রেনের ছাদ থেকে অজ্ঞাতনামা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ- পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান জানান, চররূপপুর সরদাপাড়ায় শারমিন খাতুন (২০) নামে এক নারী ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ওই এলাকার সোহাগ হোসেনের স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।
ঈশ্বরদী থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) শাহীন জানান, শহরের আলহাজ্ব মোড় এলাকায় মার্কেটের পেছনের একটি ঘরে মানসিক ভারসাম্যহীন আমিরুল ইসলাম আমিন (৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১২ বছর আগে স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর সে একাই এখানে থাকতো। দুটি ছেলে থাকলেও কেউ কোন খোঁজখবর নিতেন না তার।
বিকাল সাড়ে ৪টায় ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনে রকেট মেইলের ছাদ হতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ আলী চৌধুরী জানান, যাত্রীদের কাছে খবর পেয়ে ইঞ্জিনের পেছনের বগির ছাদ হতে এই লাশ উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তির এখনও কোন পরিচয় জানা যায়নি। এছাড়া তার মৃত্যুর কারণ ও জানতে পারেনি পুলিশ।
সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচরা গ্রামে আছিয়া খাতুন (২৭) নামে আরেক নারীর মরদেহ রাত সাড়ে ৮টায় পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেই ওই এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
এসআই মুকুল মিঞা জানান, আছিয়া দীর্ঘদিন ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলো। শারীরিক কষ্ট সইতে না পেরে সে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার সকালে জানান, সবকটি মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য রোববার রাতেই পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রাজশাহীর সময় / এম আর