০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৬:১৪ অপরাহ্ন


বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল প্রেমিকা
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২৪
বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল প্রেমিকা বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল প্রেমিকা


বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে প্রেমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক প্রেমিকার বিরুদ্ধে।

শনিবার সকালে কৃষ্ণনগরের হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বরে এ ঘটনা ঘটে।  

জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রেমিক তাপস প্রামাণিকের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল প্রেমিকা শবনম খাতুনের । তা থেকে ঝগড়া, বিবাদ লেগেই থাকতো। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাস্তায় প্রেমিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল প্রেমিকা। একের পর এক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে প্রেমিককে। এ সময় সে রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় প্রেমিকা শবনম ও তার বান্ধবী । পরে ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখে  তাদের আটক করে পুলিশ।  প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা প্রেমের টানাপোড়েন থেকে এই হত্যাকান্ড।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত প্রেমিক তাপস প্রামাণিক, ভারতের কৃষ্ণনগরের হুগলি জেলার ভদ্রেশ্বর এলাকার বাসিন্দা। আর প্রেমিকা শবনম খাতুন।  স্বামীর সঙ্গে থাকত। সম্প্রতি ভদ্রেশ্বর থানার খুঁড়িগাছিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন শবনম দম্পত্তী। সেখানেই তাপস প্রামাণিকের সঙ্গে পরিচয়। তাপসের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এরপর শবনমের ভাড়া বাড়িতে যাতায়াতের সুবাদে দু’‌জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। শবনম ও তাপস নানা জায়গায় ঘুরতেও যায়। কিন্তু অন্য এক নারীর প্রবেশে দন্দ শুরু হয় তাদের মধ্যে। সেই থেকেই সম্পর্কের অবনতি শুরু। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, শুক্রবার রাতে তাপস, শবনম এবং আরও এক যুবতী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখন তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরের দিন শনিবার শবনম তাপসের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ছুরি দিয়ে একের পর এক আঘাত করে। এতে মৃত্যু হয় তাপসের।

খবর পেয়ে অ্যাঙ্গাস ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাপস প্রামাণিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসাপাতাল মর্গে পাঠায়। সেই সাথে ঘাতক প্রেমিকাকে ও তার বান্ধবীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানান, নিজেদের মধ্যে অশান্তির জেরেই খুন। চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ সাউ বলেন, ‘‌তাপসের আগের স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। এখন ওই মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে ছিল। নিজেদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। সেই আশান্তির জেরেই শনিবার এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকা ও তার বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’