২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৪:৫৬:৩২ অপরাহ্ন


সিংড়ায় দুর্গাপূজাকে ঘিরে বেড়েছে নারিকেল বিক্রির ধুম
সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৪
সিংড়ায় দুর্গাপূজাকে ঘিরে বেড়েছে নারিকেল বিক্রির ধুম সিংড়ায় দুর্গাপূজাকে ঘিরে বেড়েছে নারিকেল বিক্রির ধুম


বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে ঘিরে নাটোরের সিংড়ায় বেড়েছে নারিকেল বিক্রির ধুম। পূজা উৎসবে অতিথি আপ্যায়নের খাদ্য তালিকায় অন্যতম প্রধান মুখরোচক খাবার  হচ্ছে নারিকেলের নাড়ু। এছাড়া নারিকেল দিয়ে পায়েস সহ তৈরী করা হয় নানা স্বাদের খাবার। কাজেই পূজা উৎসবে নারিকেলের জুড়ি নেই। তাই পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কদর বাড়ছে নারিকেলের।  ক্রেতারা ছুটছেন দোকানে। দাম দর করে কিনছেন নারিকেল।  নারিকেলের পাশাপাশি কেনা বেচায় কদর বেড়েছে গুড়ের দোকানেও।

সরেজমিনে সিংড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় নানা সাইজের  নারিকেলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন   ১৫ থেকে ২০টি  দোকান। দোকানে সাধারন ক্রেতাদের ভীড়। পুরুষ ক্রেতার পাশাপাশি আছেন নারী ক্রেতাও।  এসব দোকানে  ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ১৬০ টাকা, মাঝারী সাইজের প্রতি জোড়া ২০০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেল প্রতি জোড়া ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়  বিক্রয় হচ্ছে। 

উপজেলার ছোট বাঁশবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক সুকমল সরকার জানান, নারিকেল ছাড়া পূজা উসবের কথা ভাবাই যায় না।   তিন জোড়া নারিকেল কিনলাম। গতবারের চেয়ে দাম অনেক বেশি।  গত বছর যে নারিকেল ১ জোড়ার দাম ছিল ১৪০ টাকা  থেকে ১৬০ টাকা এবছর সেই নারিকেলের দাম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। ১ বছরের ব্যবধানে  প্রতি জোড়া নারিকেলের দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। 

নারিকেল ব্যবসায়ি শাহিন আলম ও জামাল উদ্দিন  জানান, সারা বছর কমবেশি বেচা কেনা হলেও   পূজা উপলক্ষে বিক্রি হয় সব চেয়ে বেশি। এবছর সবেমাত্র কেনা বেচা শুরু হয়েছে।  আমরা আশা করছি আশানুরূপ বিক্রয় করতে পারবো।  তারা জানান, ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় মোকাম থেকে বাড়তি দামে  নারিকেল  কিনতে হয়েছে আমাদের। দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও কিছুটা কমেছে। পূজা মৌসুমে  যারা ১০ জোড়া নারিকেল কিনতো এখন তারা কিনছেন ৫ জোড়া। 

৮ অক্টোবর মঙ্গলবার বোধন পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে এবং  ১৩ অক্টোবর রবিবার প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দুর্গাপূজার পরিসমাপ্তি ঘটবে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের  সাধারন সম্পাদক তাপস সরকার জানান, এবছর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে মোট ৮২ টি পূজা মন্ডবে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।  সনাতন ধর্মালম্বীদের পূজা পার্বনে মিষ্টি ও মিষ্টান্ন খাবার বেশি ব্যবহৃত হয়। সে কারনে নারিকেল ও গুড় হচ্ছে পূজার অন্যতম উপকরণ। এছাড়া অতিথি অপ্যায়নেও নারিকেলের তৈরি নাড়–র কদর অনেক বেশি থাকে বলেও জানান  তিনি।