কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) বাড়বাড়ন্তে শিল্পীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চর্চা অব্যাহত। একাধিক শিল্পী তাঁদের ব্যক্তিত্বের মৌলিক পরিচয় রক্ষার্থে ইতিমধ্যেই আইনের সাহায্য নিয়েছেন। এ বার বম্বে হাই কোর্টের নির্দেশে অন্তবর্তীকালীন স্বস্তি পেলেন সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহ।
আদালত অরিজিতের ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক বৈশিষ্ট্যকে আটটি এআই প্ল্যাটফর্মকে না ব্যবহার করার নির্দেশ দিল।
অর্থাৎ, তারা আর বিনা অনুমতিতে শিল্পীর নাম, কণ্ঠস্বর, স্বাক্ষর, কার্টুন এবং ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অরিজিৎ ভারতে একজন 'তারকা'র মর্যাদা পেয়েছেন। তাই তাঁর ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক বৈশিষ্ট্যসমূহকে আইনি পদ্ধতিতে সুরক্ষিত করা যায়। একই সঙ্গে শিল্পীর জনপ্রিয়তাকে ব্যবহার করে এআই প্ল্যাটফর্মগুলি যে শ্রোতাদের আকর্ষণ করছে, সে কথাও আদালত তার রায়ে জানিয়ে দিয়েছে।
অরিজিতের আইনজীবী হীরেন কামোদের পিটিশনে বলা হয়েছে, অরিজিৎ মফস্সল থেকে উঠে এসেছেন। আজ তিনি বিশ্বের অন্যতম বড় সঙ্গীতশিল্পী। বিনা অনুমতিতে তাঁর কণ্ঠস্বর এবং 'মিম' ও 'জিআইএফ' তৈরি করা হচ্ছে, যা শিল্পীর পক্ষে অসম্মানজনক। মামলাটি শোনে বিচারপতি আরআই চাগলার অধীনস্থ সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি বলেন, ''যে ভাবে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারকাদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে, তা চিন্তার বিষয়। অনুমতি ছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কোনও তারকার কণ্ঠস্বর ব্যবহার করার অর্থ তাঁর ব্যক্তিত্বের অধিকার লঙ্ঘন করা।'' ২৬ জুলাই আদালতের দেওয়া এই রায় বুধবার প্রকাশ্যে এসেছে।