২৮ জুন ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৩৫:৩২ অপরাহ্ন


অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চমক আফগানিস্তানের! বেঁচে রইল বাংলাদেশের আশা
ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৬-২০২৪
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চমক আফগানিস্তানের! বেঁচে রইল বাংলাদেশের আশা ছবি: সংগৃহীত


টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪- এর সুপার ৮ ম্যাচ আফগানিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যদিও ম্যাচের আগে বলা হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া দল সহজেই ম্যাচ জিততে পারে কিন্তু তা হয়নি।

১৪৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ঘাম ঝরে যায় অস্ট্রেলিয়ার এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উলটপুরাণ দেখা গেল কিংসটাউনে। অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান দল। এবার আফগানিস্তান দল সেই ভুলটি করেনি যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের লিগ পর্বের ম্যাচে করেছিল।

২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, অস্ট্রেলিয়া দল টানা চারটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ এবং সুপার ৮ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে এখানে পৌঁছেছিল, কিন্তু আফগানিস্তান দল অস্ট্রেলিয়ার বিজয় রথ থামিয়ে দেয়। এই ম্যাচ জিতে আফগানিস্তান শুধু সেমিফাইনালে ওঠার আশাই বাঁচিয়ে রাখেনি, টুর্নামেন্টে গ্রুপ '১' থেকে বাংলাদেশ দলও বেঁচে আছে। এখন অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হবে অস্ট্রেলিয়া দলের জন্য নকআউট ম্যাচের মতো। তবে ভারতের জন্য সেই ম্যাচ থেকে খুব একটা পার্থক্য করতে পারবে না।

এদিনের ম্যাচে আফগানিস্তান দলকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানায় অস্ট্রেলিয়া। আফগানিস্তান ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৪৯ বলে ৬০ রান করেন। যেখানে ইব্রাহিম জাদরান ৪৮ বলে ৫১ রান করেন। প্যাট কামিন্স হ্যাটট্রিক করেন, কিন্তু এটি কোনও কাজে আসেনি, কারণ অস্ট্রেলিয়ান দল ১৪৯ রানের জবাবে ১২৭ রান করার পরে গুটিয়ে যায় এবং ২১ রানে ম্যাচ হেরে যায়। আফগানিস্তানের হয়ে গুলবাদিন নাইব ৪টি ও নবীন উল হক ৩টি উইকেট নেন।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যেভাবে একাই অস্ট্রেলিয়াকে ২০২৩ বিশ্বকাপের লিগ পর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পথে নিয়ে যায়, এই ম্যাচেও তারা তাই করতে যাচ্ছিল। এই ম্যাচে তিনি ৪১ বলে ৫৯ রানের একটি ইনিংস খেলেন, যার মধ্যে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল। এক সময় মনে হচ্ছিল ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের গল্পের পুনরাবৃত্তি ঘটবে, কিন্তু গুলবাদিন নায়েব তা হতে দেননি। তিনি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নূর আহমেদের হাতে ক্যাচ আউট করে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। এরপর প্যাট কামিন্সকে বোল্ড করে ম্যাচে জেতার পথ খুলে দেন।