নাটোর জেলায় কুরবানির জন্য ৫ লাখ পশু প্রস্তুত করেছেন খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা। হাটবাজারে পাইকারি পশু ক্রেতা ব্যপারিদের চাপ বেড়েছে দ্বিগুন। গ্রামগঞ্জে, বাড়িবাড়ি, খামারে খামারেও বেচাকেনা হচ্ছে গরু-ছাগল।
জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নাটোরের ৭টি উপজেলায় কুরবানির পশু মোটাতাজাকরন খামারির সংখ্যা নাটোর সদরে ২ হাজার ২৫০, সিংড়া ৩ হাজার ১২৫, গুরুদাসপুর ২ হাজার ৬৬৯, বড়াইগ্রাম ২ হাজার ৮৩৭, লালপুর ৩ হাজার ৪০৬, বাগাতিপাড়া ৪ হাজার ১৫১ এবং নলডাঙ্গা ১ হাজার ১১২টি সহ জেলায় মোট ১৮ হাজার ৪৫০ জন খামারি ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২২৭ টি কোরবানির পশু মোটা-তাজাকরন করে প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে গরু ১ লাখ ২১ হাজার ৮৪৬টি, মহিষ ২ হাজার ১৬৬ টি, ছাগল ৩ লাখ ২০ হাজার ৩৬ টি, ভেড়া ৩৪ হাজার ১৫০টি, অন্যান্য ২৯ টি (গাড়ল, দুম্বা প্রভৃতি)।
জেলায় কোরবানির জন্য পশুর মোট চাহিদা ২ লাখ ৫২ হাজার ৪২টি। চাহিদা পুরন করার পর উদ্বৃত্ত থাকছে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৮৫ টি। উদ্বৃত্ত পশু রাজধানিসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যার আর্থিক মুল্য ধরা হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
নাটোর সদরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত- গরু ১৩ হাজার ৬৪৫টি, মহিষ ৩৫৫টি, ছাগল ৬৪ হাজার ৫৪০, ভেড়া ৮ হাজার ৯২০টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৮৭ হাজার ৪৬০ টি। এর চাহিদা ৪২ হাজার ১৭৯টি, উদ্বৃত্ত ৪৫ হাজার ২৮১টি।
গুরুদাসপুরে গরু ৩৪ হাজার ২০৮, মহিষ ৮৫৪, ছাগল ৫৬ হাজার ৭৪৬, ভেড়া ৬ হাজার ০৫২, অন্যান্য ২৯টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৯৭ হাজার ৮৮৯ টি পশু। চাহিদা ৪৮ হাজার ৫২০ এবং উদ্বৃত্ত ৪৯ হাজার ৩৬৯ টি।
বড়াইগ্রামে গরু ১৫ হাজার ৪৬৭, মহিষ ৮৪, ছাগল ৪৪ হাজার ৩২০, ভেড়া ৫ হাজার ৩৫৪টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৬৫ হাজার ২২৫টি। চাহিদা ৩৩ হাজার ২৩৫ এবং উদ্বৃত্ত ৩১ হাজার ৯৯০টি।
সিংড়ায় গরু ১৬ হাজার ৩৮, মহিষ ২০৭, ছাগল ৬৯ হাজার ৯৫৭, ভেড়া ৬ হাজার ৩৬৪টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৯২ হাজার ৫৬৬। চাহিদা ৪৫ হাজার ৩৫০ এবং উদ্বৃত্ত ৪৭ হাজার ২১৬ টি।
লালপুরে গরু ২২ হাজার ৭২৯, মহিষ ৪৫১, ছাগল ১৬ হাজার ২১২, ভেড়া ১ হাজার ৫৮৯টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৪০ হাজার ৯৮১ টি। চাহিদা ৩১ হাজার ১৩৫ এবং উদ্বৃত্ত ৯ হাজার ৮৪৬টি।
বাগাতিপাড়া উপজেলায় গরু ১২ হাজার ৬১৭, মহিষ ১৯৩, ছাগল ২৪ হাজার ৮৭৭, ভেড়া ২৩৫ টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৩৭ হাজার ৯২২ টি। এরমধ্যে চাহিদা ২১ হাজার ৪৪০ এবং উদ্বৃত্ত ১৬ হাজার ৪৮২ টি।
নলডাঙ্গা উপজেলায় গরু ৭ হাজার ১৪২, মহিষ ২২, ছগল ৪৩ হাজার ৩৮৪, ভেড়া ৫ হাজার ৬৩৬ টি সহ মোট প্রাপ্যতা ৫৬ হাজার ১৮৪। চাহিদা ৩০ হাজার ১৮৩ এবং উদ্বৃত্ত ২৬ হাজার ১টি।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, নাটোর জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে গুরুদাসপুরে সর্বোচ্চসংখ্যক কুরবানির পশু মোটাতাজাকরন করা হয়েছে। উন্নত জাতের দুম্বা, গারল, ভেড়া ও ছাগল প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। চাঁচকৈড় হাটসহ উপজেলার নাজিরপুর, নয়াবাজার, বিন্যাবাড়ি ও কাছিকাটা কোরবানির হাটে পশুর স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য চিকিৎসা টিম কাজ করছে। এছাড়া খামারিদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও সেবা দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।