রাষ্ট্রপতি ভবনে দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক শপথগ্রহণ করলেন নরেন্দ্র মোদী। জওহরলাল নেহরুর পরে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে টানা তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার নজির গড়লেন তিনি। রবিবার ঠিক সন্ধ্যা ৭ টা ২৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১০টা বছর পার করে একাদশ বছরে পদার্পণ করলেন মোদী।
১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেহরু। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ১৯৫১-৫২ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে ৪৮৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৬৪টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। ১৯৫৭ সালে ৪৮৯টি আসনের মধ্যে ৩৭১টিতে জিতেছিল। ১৯৬২ সালে ৩৬১টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস।
আর মোদী প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। টানা ১০ বছরের কংগ্রেসের শাসনের পরে বিজেপির ঝড় উঠেছিল ভারতে। আর প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন মোদী। যিনি গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯ সালে বিজেপির আধিপত্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেছিলেন। আর ২০২৪ সালের ৯ জুন সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করলেন মোদী।
তবে ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে পারেনি বিজেপি। এবার লোকসভা নির্বাচনে ২৪০টি আসন পেয়েছে মোদীর দল। সেই পরিস্থিতিতে এনডিএ জোটের বিভিন্ন দলের সাহায্য নিয়ে ২৭২-র ম্যাজিক ফিগার পার করেছে বিজেপি। ২০১৪ সাল এবং ২০১৯ সালে বিজেপি এককভাবেই ম্যাজিক ফিগার পার করে গিয়েছিল। সেই নিরিখে বিচার করলে তৃতীয় দফায় নয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছেন মোদী।
মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতি ভবনে তারকাদের ঢল নেমেছে। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জু, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে। তাছাড়া এসেছেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সুপারস্টার শাহরুখ খান, রজনীকান্ত, মুকেশ আম্বানিদের মতো তারকারা।