নির্বাচনে হারলেই দেশ ছেড়ে পালাবেন ঋষি সুনাক! ব্রিটেন ছেড়ে সপরিবারে ক্যালিফোর্নিয়ায় গিয়ে সংসার পাতবেন। শুধু তাই নয়, ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুলে মেয়েকে ভর্তির সমস্ত ব্যবস্থাও নাকি সেরে ফেলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী! ভোটের আগে এমনই নানা গুজবে সরগরম ব্রিটেনের রাজনৈতিক মহল। তবে যাবতীয় কথার জবাব দিয়েছেন সুনাক।
আগামী ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। সেখানে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি (Rishi Sunak)। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের জেরে নিজের দলের অন্দরেই ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। কারণ ঋষির কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যেই দাবি উঠছিল, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক। গত কয়েকমাসে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি ব্রিটেনের আমজনতার আস্থা প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এহেন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের।
এহেন পরিস্থিতিতে গুজব ছড়াচ্ছে, ঋষি নিজের স্বার্থের কারণেই দেশে দ্রুত নির্বাচন করাচ্ছেন। কারণ সেপ্টেম্বর মাসে নিজের মেয়েকে ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুলে ভর্তি করাতে চাইছেন তিনি। নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পরে সুনাক নিজেও সপরিবারে দেশ ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যাবেন। তবে যাবতীয় গুজব ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ব্রিটেন আমার বাড়ি। আমার ফুটবল টিম সদ্য প্রিমিয়ার লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। কতদিন ধরে অপেক্ষা করেছি এই দিনটার জন্য।” দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা নিয়ে সুনাকের দাবি, আমজনতার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
উল্লেখ্য, দ্রুত নির্বাচন ঘোষণা হতেই সবমিলিয়ে ৭৮ জন এমপি পদত্যাগ করেন সুনাকের দল থেকে। একের পর এক জনপ্রতিনিধি জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন।বিশেষজ্ঞদের মতে, কনজারভেটিভ পার্টির নামী নেতারা ধরেই নিয়েছেন যে ভোটে তাঁদের হার নিশ্চিত। তাই লজ্জা এড়াতে আগে থেকেই নাম প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এহেন পরিস্থিতিতে জল্পনা ছড়াল, সুনাক নিজেও নাকি দেশ ছেড়ে পালাবেন। কোনদিকে যাবে ব্রিটেনের রাজনীতি, উঠছে প্রশ্ন।