পাবনায় ৬দফা দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের উদ্যোগে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, পাবনা-সিরাজগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রহমান।
পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি মো. হারিক হোসেনর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. শামিম হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, পাবনা জেলা বিড়ি শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাসেল, জাতীয় শ্রমিক লীগের পাবনা জেলা সভাপতি মো. ফুরকান আলী, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) প্রদীপ কুমার সাহা, বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি), সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, লুৎফর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. মো. রুহুল আমিন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের উপদেস্টা মো. মুজিবুর রহমান, সহ-সভাপতি আলম হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক দুলাল মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, অর্থ সম্পাদক টোকন রায়, প্রচার সম্পাদক রাণী খাতুন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক চামেলী খাতুন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমাদের দেশের শ্রমিকদের বড় একটি অংশ কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলাঙ্গ, বিধবাসহ অসংখ্য শ্রমিকের পরিবারে রুটি-রুজি নির্ভর করে বিড়ি শিল্পের উপর। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প বন্ধে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে বিড়ির উপর চালানো হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা। মাত্রাতিরিক্ত পরের বোঝা সহ্য করতে না পেরে বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে বেকার জীবন যাপন করছে। কর্মসংস্থান না থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। অন্য কাজ না পেয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে। এছাড়াও বিড়ির উপর শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা শুল্ক ফাঁকি দিতে জাল ব্যান্ডরোল ও ব্যান্ডরোলবিহীন নকল বিড়ি তৈরি করে বাজারজাত করছে। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
সমাবেশে আয়োজিত সংগঠনের পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি (১. ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক কমাতে হবে; ২. বিড়ির ওপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে; ৩. বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি প্রদান করতে হবে; ৪. বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে; ৫. সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে বিড়ির কারখানা লাইসেন্স প্রদান বন্ধ করতে হবে এবং ৬. কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে নকলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে) তুলে ধরা হয়।
রাজশাহীর সময় / এম জি