পিরিয়ডের সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। তবে ন্যাপকিন ব্যবহারের সময় আপনার সামান্য অসাবধানতাই ডেকে আনতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। কারণ একজন নারীর পিরিয়ড তাকে প্রতি মাসে গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। এই অবস্থা গড়ে ২৮ দিন পর্যন্ত থাকে। পিরিয়ডের সময়টুকুতে অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশিই সচেতন থাকতে হয়নারীদের।
পিরিয়ডের সময়টুকুতে সব নারীই নানা ব্র্যান্ডের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। কিন্তু আপনি নিজের অজান্তেই স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সময় কিছু ভুল করে থাকেন। ভুলের কারণে হতে পারে চুলকানি, র্যাশসহ ত্বকের নানা রকম অসুখ। তাই এই সময়ে সচেতন থাকা জরুরি।
পিরিয়ডে ভালো মানের ন্যাপকিন ব্যবহার করা জরুরি। এছাড়া কোনোভাবেই একই কাপড় পরিষ্কার করে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না। পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে যে রক্ত প্রবাহিত হয়, তার মধ্যে ব্যাকটেরিয়া থাকে।
তাই পিরিয়ডের সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি। অস্বাস্থ্যকর বস্তু ব্যবহারের জন্য মেয়েদের দুটি প্রধান সমস্যা দেখা দিতে পারে- প্রথমত, পাইরজেনিক অর্গানিজমে ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন হয়। এছাড়া ঋতুস্রাবের শেষের দিকে অল্প রক্তপাত হয় এবং এ কারণে সেই রক্ত দ্রুত শুকিয়ে সেখানে জীবাণুর আক্রমণ হয়, যা যোনিপথের সংস্পর্শে এসে চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন হতে পারে।
স্যানিটারি ন্যাপকিন কোনোভাবেই তিন বা চার ঘণ্টার বেশি পরা উচিত নয়। ঋতুস্রাবের শুরুর দুই ও তিন দিন অতিরিক্ত রক্তস্রাব নিঃসরণ হয়। এ সময় অনেকে ছয় বা সাত ঘণ্টা পর পর প্যাড পরিবর্তন করে। কিন্তু চতুর্থ বা পঞ্চম দিন থেকে স্রাব কমে আসায় একই ন্যাপকিন ২৪ ঘণ্টা বা আরো বেশি সময় ধরে অনেকে পরে থাকে। তাই হতে পারে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি।
জেনে নিন স্যানিটারি ন্যাপকিনের সঠিক ব্যবহার
১. চার ঘণ্টার বেশি কোনোভাবেই ন্যাপকিন ব্যবহার করা যাবে না। এতে চুলকানি, ফোঁড়া, ইনফেকশন হতে পারে।
২. ন্যাপকিন বদলে নতুন একটি ন্যাপকিন পরার আগে ভালোভাবে হাত ও ওই স্থানটি পরিষ্কার করে ধুয়ে ও মুছে নিন। হাত না ধুয়ে ন্যাপকিন ধরার কারণে হাতে লেগে থাকা জীবাণু প্যাডে লেগে যায় এবং সেখান থেকে জরায়ুতেও প্রবেশ করতে পারে। প্রয়োজনে জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
৩. টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখা যাবে না। কারণ টয়লেটে থাকা নানা ধরনের জীবাণু দ্বারাও সেটি দ্রুত আক্রান্ত হয়। জীবাণুযুক্ত প্যাড ব্যবহারের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন আপনি।
৪. স্যানিটারি ন্যাপকিন কেনার সময় অবশ্যই মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ খেয়াল করতে হবে। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণের ফলে এটির কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে এবং আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়।
রাজশাহীর সময়/এএইচ