স্কুল-কলেজপড়ুয়া মেয়েদের আইডি থেকে ছবি সংগ্রহ করে সেগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকাসহ নানাভাবে ব্ল্যাকমেইলিং করতো- এমন একটি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। তাদের কাছ থেকে এই কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- পাবনা সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মহিউল ইসলামের ছেলে ইসতিয়াক আহম্মেদ রঙ্গন (১৮), বিল বাদুড়িয়া এলাকার মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. শাহরিয়ার কবির আকাশ (১৭), পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের মো. শাহিন মণ্ডলের ছেলে মো. ইমন আহাম্মেদ (২০) এবং শালগাড়িয়া এলাকার মো. বকুল হোসেনের ছেলে মো. হাসিবুল হাসান তন্ময় (২২)।
পুলিশ সুপার জানান, ফেসবুকে হয়রানির শিকার হয়ে একাধিক স্কুল-কলেজপড়ুয়া ভুক্তভোগীর পরিবার পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাদের ছবি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহ করে ‘Exposure
&
তিনি জানান, পাবনা জেলায় এসব সাইবার ক্রিমিনালদের সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে বহু ভুক্তভোগী সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে, অনেকের সংসার ভেঙে যাচ্ছে। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে বেশকিছু দিন ধরেই পাবনা ডিবি পুলিশ কাজ করে যাচ্ছিল। এসব ক্রিমিনালগণ প্রযুক্তি বিদ্যায় অত্যাধিক পারদর্শী এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত। আসামিদের বাইরে আরও বেশ কিছু গ্রুপের এডমিন রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত সাইবার বুলিং করে যাচ্ছে।
তারা সকলেই আমাদের নজদারিতে আছে। যে বা যারাই সাইবার ক্রাইম বা সাইবার বুলিংয়ে জড়িত থাকুক না কেন তাদের সকলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জিয়াউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ডিএম হাসিবুল বেনজীর, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমা আকতার, পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ও পাবনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি মো. এমরান হোসেন তুহিন উপস্থিত ছিলেন।