গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচ চালাতে হলে প্রথম শর্ত রেফারিকে হতে হবে হোয়াইট ব্যাজধারী। সেই শর্ত পূরণে সফল হয়েছেন আন্তর্জাতিক টেনিসে প্রথম বাংলাদেশি নারী রেফারি মাসফিয়া আফরিন। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের অনুমোদনক্রমে ও মালয়েশিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় কুয়ালালামপুরে ২৪ থেকে ২৮শে এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ‘আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ স্কুল’। হোয়াইট ব্যাজ স্কুলে বাংলাদেশের মাসফিয়া আফরিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাতে আইটিএফ কর্তৃক ‘হোয়াইট ব্যাজ রেফারি’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।
টেনিসে দেশের প্রথম নারী রেফারি হিসেবে এমন সাফল্যের ইতিহাস গড়েলেন মাসফিয়া আফরিন। বাংলাদেশের মাসফিয়া ছাড়াও মালয়েশিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন, উজবেকিস্তান, ভারত, জাপান, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও চীন হতে ১৬ জন অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেন। মাসফিয়া বলেন, ‘হোয়াইট ব্যাজ রেফারি হতে পেরে স্বস্তি লাগছে। এটা শুধু আমার একার সাফল্য না। এই সাফল্য বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের।’ এর আগে বাংলাদেশের সারোয়ার মোস্তফা জয় ২০০০ সালে ‘আইটিএফ হোয়াইট ব্যাজ চেয়ার আম্পায়ার’ এর স্বীকৃতি পেয়েছিলেন।
হোয়াইট ব্যাজ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পূর্বে মাসফিয়া আফরিন আইটিএফের ‘প্রজেক্ট: অফিসিয়েটিং পাথওয়ে’-এর আওতায় অফিসিয়েটিং এর বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারতের কলকাতা ও দিল্লিতে দুটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সহকারী রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই পারফরম্যান্স বিবেচনায় তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান । মাসফিয়ার মালয়েশিয়ায় যাতায়াতের ব্যয় দিয়েছেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি সেলিম এবং কোর্সের নিবন্ধন ফি ও অন্যান্য সামগ্রিক ব্যয় দিয়েছেন টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।