নাটোরের এক যুবদল নেতাকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মৃত নেতা এ কে আজাদ শহীদ ওরফে সোহেল রানা (৪০), তিনি নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। পরে তার মরদেহ বাড়ি নিয়ে গেছেন স্বজনেরা। সোহেল রানা হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের ছোট হাতিদহ গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
নাটোর জেলা কারাগারের জেল সুপার কাওয়ালিন নাহার জানান, নাশকতার মামলায় পুলিশ সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে। আদালত গত ২১ নভেম্বর সোহেলকে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠান। পরে (২৯ নভেম্বর) তিনি কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। এখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
ওই দিনই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষ তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ৩০ নভেম্বর আদালত সোহেল রানার জামিন মঞ্জুর করেন। ১ ডিসেম্বর কারাগারে জামিনের কাগজ পৌঁছালে তাকে মুক্তি দেখানো হয়। হাসপাতাল থেকেও কারারক্ষীর পাহারা তুলে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) হাসপাতালে মারা গেছেন বলে তিনি শুনেছেন।
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোস্তফা শেখ জানান, হাসপাতালে আনার প্রথম দিন থেকে সোহেল রানা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি মারা যান।