০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০১:০৩ পূর্বাহ্ন


রাজশাহীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি; ভোগান্তিতে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১২-২০২৩
রাজশাহীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি; ভোগান্তিতে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ রাজশাহীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি; ভোগান্তিতে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষ


রাজশাহীতে বিরতীহীন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমুল ও নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। 

গত বুধবার থেকে সুর্য্যরে দেখা মিলেনি। এদিকে অগ্রহায়নের বৃষ্টিতে বাড়িয়ে দিয়েছে শিশু-বৃদ্ধ-সহ সববয়সী মানুষের দুর্ভোগ। বৃষ্টিতে জমেছে কাঁদাপানি। চলতে-ফিরতে অসুবিধা হওয়ায় রিক্সা-সহ কিছু পরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। এদিকে উপজেলাগুলিতে আমন ধান পাকায় ধান কাটাই-মাড়াই ও শুখানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।

রাজশাহীর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গেল ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিট থেকে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা পর্যন্ত রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে।

এর আগে গতকাল বুধবার দিনভর মেঘলা আকাশের কারণে সূর্যের দেখা মেলেনি। একই অবস্থা বৃহস্পতিবারেও। সকাল ৪টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি চলছে বিরামহিন বৃষ্টি। বৃহস্পবিার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জমেছে কাদাপানি। রাস্তাঘাটে মানুষের দেখা মিলছে খুবই কম। যারা বের হচ্ছেন তারা সুয়েটার, চাঁদর, জ্যাকেট ও রেইনকোর্ট পরে বের হচ্ছেন। তবে নগরীতে কিছু রিক্সা-সহ অন্যন্য যানবাহন চলাচল করছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে জনজীবন ব্যাহত হয়ে পড়ছে। বাড়ছে শীতের তীব্রতা। বৃষ্টি ও বাতাসে কাজের খোঁজে বাইরে বেরোতে পারেনি মানুষজন। এতে বিপাকে পড়েছেন তারা।

রিক্সা-ভ্যান চালক মোঃ খেজাউল, হাইদুর, রেজাউল বলেন, দুইদিন থেকে হঠাৎ বৃষ্টিতে রিক্সাভ্যান নিয়ে বাহিরে বেরোনো যাচ্ছে না। বৃষ্টিতে ভিজলেই জ্বর-সর্দিতে ভুগতে হবে। তবে এসব তো পেট মানছে না। পেটের দায়ে সুরক্ষা কাপড় পড়ে বৃষ্টিতেও ভাড়া মারতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় তেমন লোকজন বের হচ্ছে না। ফলে আয় রোজাগার  কম হচ্ছে।

দিনমজুর রনি ও রহমান বলেন, আমরা দিন খাটি, দিন খাই। ঝড়-বৃষ্টি, শীত আমাদের জন্য না। আমাদের ওপর আমাদের পরিবার চলে। আমরা কর্ম না করলে না খেয়ে দিন কাটবে পরিবারের সবার। তাই বাধ্য হয়ে এই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতেও কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়েছি।