বগুড়ার সোনাতলায় পথভুলে আসা পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ান শ্রমিক আলেকসিভিচকে (৩০) উদ্ধার করা হয়েছে। সোনাতলা থানার টহল পুলিশ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাকে উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে হাঁটার সময় আটক করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে রূপপুর থেকে আসা কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে এক ব্যক্তি সোনাতলা উপজেলার তেকানীচুকাইনগর এলাকায় যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধা জেলার দিকে যাচ্ছিলেন। টহল পুলিশ দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তার কাছে ব্যাগে থাকা ১০০ ডলারের চারটি নোট, রাশিয়ান পাসপোর্ট, ভিসা, একটি মোবাইল ফোন, একটি ব্যাংকের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র শাখার চেক ও কাপড়চোপড় ছিল।
ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজিতে জানান, তিনি রাশিয়ান নাগরিক, তার নাম আলেকসিভিচ। পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক। গত ৫ নভেম্বর তার কাজের পারমিট শেষ হয়ে গেছে। ১৫ নভেম্বর তার দেশে ফেরার বিমান। তিনি কয়েকদিন বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ভ্রমণের চিন্তা ভাবনা করেন। গত কয়েকদিনে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেছেন।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া শহরে পৌঁছেন। সেখান থেকে সিএনজি অটো রিকশায় সোনাতলা উপজেলার প্রত্যন্ত তেকানীচুকাইনগর এলাকায় আসেন। এরপর তিনি যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছিলেন। টহল পুলিশ দেখতে পেয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
সোনাতলা থানার ওসি সৈকত হাসান জানান, সম্ভবত রাশিয়ান ওই নাগরিক পথভুলে তার উপজেলার প্রত্যন্ত তেকানীচুকাইনগর এলাকায় চলে আসেন। গভীর রাতে বাঁধের উপর দিয়ে হেঁটে পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার দিকে যাচ্ছিলেন। পুলিশের নজরে না এলে তার বিপদে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তার পরিচয় জানার পর রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে কয়েকজন রাশিয়ান দেশী কর্মকর্তারা সোনাতলা থানায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে তাকে ওইসব কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।