০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:৩৬:৩০ অপরাহ্ন


চাকরিচ্যুত করায় সরকারি নারী কর্মকর্তাকে খুন, গাড়িচালক আটক
সুমাইয়া তাবাস্সুম:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৩
চাকরিচ্যুত করায় সরকারি নারী কর্মকর্তাকে খুন, গাড়িচালক আটক চাকরিচ্যুত করায় সরকারি নারী কর্মকর্তাকে খুন, গাড়িচালক আটক


নিজের বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সরকারি এক নারী কর্মকর্তা। নিহত নারী কর্মকর্তার নাম প্রতিমা কেএস। ঘটনার সময় তার স্বামী ও সন্তান বাসায় ছিলেন না। এই ঘটনায় নিহত ওই নারী কর্মকর্তার সাবেক গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত শনিবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। সোমবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্ণাটকের সরকারি কর্মকর্তা প্রতিমা কেএস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন ড্রাইভারকে গ্রেপ্তার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। নিহত প্রতিমাকে শহরের সুব্রমণ্যপোরা এলাকায় তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।

বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ বলেছেন, ‘খুনের ঘটনায় একজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি ড্রাইভার হিসাবে কাজ করত এবং সম্ভবত ৭ থেকে ১০ দিন আগে তাকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’

বেশ কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে কাজে যুক্ত থাকা ওই ড্রাইভার এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, তিনি (প্রতিমা কেএস) তাকে চাকরিচ্যুত করেছিলেন।

আটককৃত ওই চালকের নাম কিরণ হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং সূত্র জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে চামরাজানগরে পালিয়ে যান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ৪৫ বছর বয়সী প্রতিমা কর্নাটক সরকারের খনি ও ভূতত্ত্ব বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের সময় বাড়িতে একাই ছিলেন প্রতিমা। আর তার স্বামী এবং ছেলে বেঙ্গালুরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে কর্ণাটকের শিবমোগা জেলায় ছিলেন।

পুলিশ সূত্র বলছে, শনিবার অফিসের কাজের পর রাত ৮টার দিকে প্রতিমাকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যান কিরণের জায়গায় নিয়োগ পাওয়া নতুন গাড়িচালক। পরে রাতে তার ভাই বেশ কয়েকবার তাকে ফোন করেন। কিন্তু, একবারও ফোন ধরেননি প্রতিমা।

পরদিন সকালে প্রতিমার বাড়িতে আসেন তার ভাই। দরজা বাইরে থেকে খোলা দেখতে পেয়ে ভেতরে ঢুকে প্রতিমাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপরই পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ সূত্র এনডিটিভিকে জানিয়েছে, শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টার মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কর্ণাটক রাজ্যের পরিবেশ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত প্রতিমাকে ‘খুব গতিশীল নারী’ ও  কঠোর পরিশ্রমী হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিমা খুব সাহসী ছিলেন। কাজের মধ্য দিয়ে নিজের বিভাগে তিনি প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।