২০ মে ২০২৪, সোমবার, ১২:১৩:২৬ পূর্বাহ্ন


হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে খালেদা জিয়া
অনলাইন ডেস্ক :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২৩
হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে খালেদা জিয়া হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে খালেদা জিয়া


মার্কিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় তার যকৃতে ‘ট্র্যান্সজাগুলার ইন্ট্রাহেপেটিক পোরটোসিসটেমিক শান্ট (টিপস) প্রয়োগ করা হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়।

খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। আজ শুক্রবার বিকেলে কেবিনে আনার কথা রয়েছে। এখন খালেদা জিয়া কিছুটা ভালো রয়েছেন।

বোর্ডের এই সদস্য জানান, টিপস চিকিৎসার বিশেষ একটি পদ্ধতি। বুকে পানি ও রক্তক্ষরণ বন্ধে এটা প্রয়োগ করা হয়। খালেদা জিয়ার এটি ইমিডিয়েট দরকার ছিল। তবে এটিই চূড়ান্ত চিকিৎসা নয়। এখন লিভার প্রতিস্থাপন জরুরি বলে জানান তিনি।

এদিকে বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা দিতে ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত জনস হপকিন্স হাসপাতালের তিন চিকিৎসক। তারা হলেন ক্রিস্টোস জর্জিয়াডস, জেমস পিটার অ্যাডাম হ্যামিলটন ও হামিদ আহমেদ আব্দুর রব।

আগামীকাল শনিবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন এ চিকিৎসকদলের ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে।

বিএনপির দাবি ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা ও লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। এ ছাড়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। এরই মধ্যে কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদ্‌যন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

খালেদা জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। ২০২০ সালের মার্চে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দফায় দফায় তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।