সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার নরিনা ইউনিয়নের বাতিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে বুধবার দুপুরে ভাত খেতে দিতে দেরি হওয়ায় স্বামী আব্দুর রশিদ ঠান্ডুর (৬৫) মারপিটে স্ত্রী হনুফা খাতুন (৬০) নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পর নিহতের লাশ তড়িঘড়ি করে দাফনের চেষ্টা করলে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় মৃতের ছোট ছেলে আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে শাহজাদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, বুধবার জোহরের আজানের পর বাইরে থেকে এসে আব্দুর রশিদ ঠান্ডু তার স্ত্রী হনুফা খাতুনের কাছে ভাত খেতে চান। হনুফা নামাজ শেষে করে খেতে দেবেন বলে নিজ ঘরে নামাজ শুরু করেন। এতে আব্দুর রশিদ চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং নামাজ শেষ হতেই স্ত্রী হনুফাকে বকাঝকা ও মারপিট শুরু করেন। এতে হনুফা দরজার চৌকাঠের উপর পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরিবারের লোকজন বিষয়টি গোপন করে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে মৃতের মেজো ছেলে আব্দুল হামিদ বলেন, ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। পরে এসে জানতে পারলাম, বাবা-মায়ের ঝগড়ার একপর্যায়ে মা হনুফা খাতুন দরজার চৌকাঠের উপর পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। আমরা এটা স্বাভাবিক মৃত্যু ভেবে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি।
এ বিষয়ে মৃত হনুফার ৩ ছেলের বউ ফিরোজা খাতুন, সায়ফা খাতুন ও আরিফা খাতুন জানান, আমরা যার যার ঘরে ছিলাম। তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে জোরে ধুম করে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনে আমরা ঘর থেকে ছুটে এসে দেখি শাশুড়ি চৌকাঠের উপর পড়ে মারা গেছেন।
এ বিষয়ে গ্রামপ্রধান জুলফিকার আলী বলেন, উভয় পরিবারের সম্মতিতে আমরা লাশ দাফনের ব্যবস্থা করি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ দাফনে বাধা দিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে নিহতের চাচাতো ভাই নরিনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু শামীমের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি খায়রুল বাসার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।