বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনা বিধুর দিন। এ দিনটি জামায়াত ও শিবিরের আত্মার সাথে সম্পর্কিত। ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর আওয়ামী লঘি বৈঠার তাণ্ডবে অসংখ্য শহীদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছিল। দির্ঘ ১৭ বছর পর জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষে আবারও আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর শাপলা চত্বরে জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ করতে যাচ্ছে। একজন দায়িত্বশীল হিসেবে দেশ ও জাতির স্বার্থে সেদিন সকলকে ময়দানে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। পাড়া মহল্লা থেকে দলে দলে ঢাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সমাবেশে যোগদান করতে হবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, যেকোনো মূল্যে জনগণের দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য প্রদান করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহা. দেলাওয়ার হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান।
আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, মাওলানা আবু ফাহিম, শামছুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার শেখ আল আমিন, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক নুরুন্নবী মানিক, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন, সৈয়দ সিরাজুল হক, শেখ শরীফ উদ্দিন, আব্দুর রহমান সহ মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী দক্ষিণের থানা ও বিভাগীয় দায়িত্বশীলবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ শে অক্টোবর বাংলাদেশ তার সঠিক পথ হারিয়েছে। আবারো সেই ২৮ শে অক্টোবর আমাদের মাঝে সমাগত সেদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও জনগণের সকল অধিকার পুনরুদ্ধারের দিন। রাজধানীর শাপলা চত্বরে মুসলিম তৌহিদী জনতার পবিত্র রক্ত ঝরেছে। ঐতিহাসিক নব সূচনার পথে ২৮ শে অক্টোবর ও শাপলা চত্বর স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী সরকার যতই দমন পীড়ন ও নির্যাতন চালানোর কথা ভাবুক না কেন এবার তাদের নিজেদের অস্তিত্ব-ই বিলিন হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের উপরে দমন পীড়ন চালিয়ে আওয়ামী লীগ তার পতনকেই নিশ্চিত করেছে। জামায়াতে ইসলামীর উপর সরকারের অতি উৎসাহী কর্মর্কতাদের চরম খড়গ হস্ত জনগণ ঘৃণাভরে ধিক্কার জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই অবৈধ সরকারের আমলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ইসলাম প্রিয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। তাই দেশপ্রেমিক ও ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতাকে নিজেদের অধিকার ও সম্মান পুনরুদ্ধারের জন্য ২৮ শে অক্টোবর শাপলা চত্ত্বরের ঐতিহাসিক মহা-সমাবেশে দলে দলে যোগদান করার উদাত্ত্ব আহ্বান জানাচ্ছি।
আব্দুস সবুর ফকির, জাতির এই ক্রান্তিকালে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে জানমাল বাজি রেখে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ২৮ শে অক্টোবরের মহা-সমাবেশ সফল করতে আন্দোলন সংগ্রামে থানা দায়িত্বশীলদেরকে সম্মুখে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী সরকার আমাদের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারসহ সকল নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের বসে থাকলে চলবে না। মানবতার কল্যাণ ও মুক্তির জন্য সকলকে ময়দানে তৎপর হতে হবে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নিজেদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার নিশ্চিত করতে, আগামী ২৮ অক্টোবর শাপলা চত্ত্বরে রাজধানী বাসীকে নিয়ে দলে দলে যোগ দিতে হবে। সেদিন শাপলা চত্বর এই স্বৈরাচারী জালেম সরকারের অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তোলার দূর্গ প্রাচীর হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। জালিমের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করাকে আল্লাহ তাআলা উত্তম জিহাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাই আমাদেরকে সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সমাবেশে আসতে হবে।