বাফুফের নারী ফুটবল একাডেমি এশিয়ার অন্য দেশের জন্য এখন রোল মডেল। এখানে সুযোগ পাওয়ায় মেয়েরা মাত্র আট বছরে পালটে দিয়েছে দেশের ফুটবল। শিরোপা জেতায় পিছে ফেলেছে ছেলেদের। যদিও শুরুতে সমাজের নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে তাদের। সাফল্য পেলেও বেতন বৈষম্য এখনো তাদের পিছু ছাড়েনি।
`কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পুরুষের তরবারী; প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী’। সমাজের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে কীভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয় তার রোল মডেল বাফুফের নারী একাডেমির ফুটবলাররা।
আট বছর আগেও বাংলাদেশে নারী ফুটবলে ছিল না উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য। আর ২০২২- এ এসে তারা ছেলেদেরও ছাড়িয়ে গেছে। আফেইদা-সাবিনারা যে এখন সবার আইকন।
মারিয়া মান্ডা বলেন, আমাদের অনেকেই নিষেধ করতে, বলতো না খেলতে। অনেকে মনে করে মেয়েরা এসব কেন করবে। এগুলো তো ছেলেদের।
মেয়েদের এই একাডেমি এশিয়ার একমাত্র আদর্শ একাডেমি হিসেবে ফিফা ও এএফসির স্বীকৃতি পেয়েছে। চলতি বছর বেশ ক’টি সাফ টুর্নামেন্টে খেলবে মেয়েরা। সেই যাত্রাটা শুভ করার আকাঙ্খা বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের।
এ সম্পর্কে সাবিনা বলেন, শেষ চার-পাঁচ বছরে আমাদের মেয়েদের যে সাফল্য সেটা অনেক সাড়া ফেলেছে। অনেকে এখন ফুটবলার হওয়ার জন্য আগ্রহী হয়।