তুলসী হল, একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ,যা শুধুমাত্র চায়ের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা হয় না, এটি অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতাও প্রদান করে। তুলসীর এই জল পান করলে অনেক স্বাস্থ্য উপকার পাওয়া যায়।

কী কী সেই উপকারিতা আসুন জেনে নেই-

তুলসীতে উপস্থিত বৈশিষ্ট্যগুলি হজমে সহায়তা করতে পারে ,গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে পারে। তুলসীর জল পান করা পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে এবং ভাল হজমকে উন্নীত করতে সাহায্য করতে পারে। বেশির ভাগ সকালে তুলসীর জল পান করলে শরীর থেকে অবিলম্বে টক্সিন এবং জীবাণু বের করে দিতে সাহায্য করতে পারে।

তুলসীকে একটি অভিযোজনীয় ভেষজ হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যার অর্থ এটি শরীরকে চাপের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে এবং প্রশান্তি ও শিথিলতার অনুভূতি প্রচার করতে সহায়তা করতে পারে। তুলসীর জল পান করা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তুলসীতে ইমিউনোমোডুলেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে বলে জানা যায়, যার অর্থ এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। তুলসীযুক্ত জল নিয়মিত পান করলে প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং শরীরকে সংক্রমণের জন্য আরও স্থিতিস্থাপক করতে সাহায্য করতে পারে।

তুলসী ঐতিহ্যগতভাবে কাশি, সর্দি এবং হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলসীর জল পান করা শ্বাসযন্ত্রের উপর শান্ত প্রভাব ফেলতে পারে এবং শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তি দিতে পারে।

তুলসীতে ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিফেনল এবং এসেনশিয়াল অয়েলের মতো যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেলগুলিকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে, যার ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হ্রাস করে এবং কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

তুলসীতে উপস্থিত অপরিহার্য তেলগুলিতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা প্রদাহ এবং সম্পর্কিত উপসর্গগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

তুলসীর অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে। তুলসীর জল দিয়ে গার্গল করা মাড়ি নিরাময় করতে এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে।