৫০টি দেশের ১৫টি সমীক্ষা অনুসারে, যখন হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নির্ণয় এবং চিকিত্সা করা হয় তখন মহিলাদের ফলাফল খারাপ হয়। এই গবেষণায় আরও জানা গেছে যে, এটি বিশ্বের এক নম্বর খুনি।
'আর্টেরিওস্ক্লেরোসিস থ্রম্বোসিস অ্যান্ড ভাস্কুলার বায়োলজি'-তে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহিলারা হার্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যার অনুভব হলে তাঁদের প্রচণ্ড বুকে ব্যথা হতে পারে।
মহিলাদের হৃদরোগের কিছু লক্ষণও রয়েছে। যেমন-
বমি, চোয়ালে ব্যথা এবং পেটে ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা যায়। এই লক্ষণগুলি ডাক্তার বা রোগী নিজেই উপেক্ষা করেন, তাহলে রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সায় বিলম্ব হয়। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড স্কুল অফ মেডিসিন-এর জুকারবার্গ কলেজ অফ হেলথ সায়েন্সেস-এর সহযোগী অধ্যাপক মাহদি ও গ্যারেলনাবি বলেন, "আমরা হৃদরোগের নির্ণয়, চিকিত্সা এবং লক্ষণগুলিতে পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে আশ্চর্যজনক পার্থক্য খুঁজে পেয়েছি।"
লক্ষণগুলি শুরু হওয়ার পরে মহিলারা পুরুষদের তুলনায় পরে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তাররা পুরুষদের মতো একই হারে মহিলাদের হাসপাতালে ভর্তি করছেন না। বিশ্লেষণে আরও জানা গেছে যে, তরুণীদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের হার বাড়ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ৩৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ২১ শতাংশ থেকে ৩১ শতাংশে বেড়েছে, যেখানে পুরুষদের হার সামান্য বেড়েছে; ৩০ শতাংশ থেকে ৩৩ শতাংশ।
করোনারি ধমনী রোগে আক্রান্ত প্রায় ১৫,০০০ রোগীর ওপর করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, অল্পবয়সী রোগীদের মধ্যে মহিলাদের ৩০ দিনের মধ্যে মারা যাওয়ার ঝুঁকি ছয়গুণ বেড়েছে। গ্যারেলনাবি বলেন, 'এটি উদ্বেগজনক যে কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের হার বাড়ছে। মহিলাদের জন্য অনন্য ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে অকাল মেনোপজ, এন্ডোমেট্রিওসিস এবং গর্ভাবস্থায় হাইপারটেনসিভ ব্যাধি।'