সিরাজগঞ্জে টানা বেশ কয়েকদিন ধরে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বিপৎসীমার মাত্র ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের নিচু জমিগুলো প্লাবিত হয়ে মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২ হাজার ১৯০টি পরিবারে সাড়ে ৮ হাজার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে যমুনার পানি আরও দু-একদিন বাড়বে।
এদিকে, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর পানিও বাড়ছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৮৮ মিটার। ১২ ঘণ্টায় ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা: ১২.৯০ মিটার)।
অপরদিকে, কাজিপুরের মেঘাই পয়েন্টে বুধবার (৩০ আগস্ট) সকালে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৬৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আসামে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে আরও দু-একদিন পানি বাড়বে। আজকের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে ভারী বন্যার আতঙ্ক নেই।
এদিকে, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ৪২টি ইউনিয়নে চরাঞ্চলের নিম্নভূমি তলিয়ে গেছে। পানি উঠতে শুরু করেছে এসব অঞ্চলের ঘরবাড়িও। ইতোমধ্যে চৌহালী উপজেলার ১ হাজার ১৫টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কালিয়া হরিপুর, সয়দাবাদ ইউনিয়নের মানুষগুলো দুর্ভোগে রয়েছে। দফায় দফায় পানি বাড়ার ফলে এ অঞ্চলে ফসলের চাষাবাদও ব্যাহত হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।
কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জিয়া মুন্সী বলেন, এর আগে দুই-তিন দফায় পানি বাড়লেও এ দফায় বন্যা হবে বলে মনে হচ্ছে। মানুষের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে।
চৌহালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হেকমত আলী জানান, ইতোমধ্যে এ উপজেলার ২ হাজার ১৯০টি পরিবারের অন্তত সাড়ে ৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব পরিবারের তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন অফিসে পাঠানো হয়েছে।