খারাপ ভাল দুই নিয়ে মানুষের জীবন। তাই জীবনের সঙ্গী হাসি কান্না দুই-ই। বলা ভাল মানুষের দুঃসময়ের সঙ্গী কান্না। তবে আপনার সামনের মানুষটি কাঁদলে তাঁকে সান্ত্বনা দেওয়ার বদলে কাঁদতে দিন। কারণ কাঁদলে ভাল থাকলে শরীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁদার অনেক গুণ রয়েছে। কী সেগুলি? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
কাঁদা ভাল কেন?
কান্না শরীরের জন্য ভাল। একটি জাপানি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে কাঁদলে মানুষের মানসিক চাপ কমে। শুধু তাই-ই নয়, এতে শরীর ও মন শক্তিশালী হয়।
কিন্তু কেন?
বিশেষজ্ঞদের মত, কান্না চোখের শুষ্কতার সমস্যা মেটায়। এছাড়া চোখে অনেকসময় জীবাণুর বাসা বাঁধে, কাঁদলে এসব জীবাণু বেরিয়ে যায়। চোখের জলের মধ্যে লাইসোজাইম নামক একটি পদার্থ নির্গত হয় যা চোখের মধ্য়ে থাকা জীবাণুদের মেরে ফেলে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, কাঁদলে মন হালকা হয়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে সপ্তাহে অন্তত একবার কাঁদুন।
এখানেই শেষ নয়, কান্নার আরও কিছু উপকারিতা রয়েছে…
ঘুম ভাল হয়: কান্নার সময় মানুষের শরীরে এমন কিছু হরমোন ক্ষরণ হয় যা ঘুমে সাহায্য করে ও শরীরকে আরাম দেয়। ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত একটি গবেষণা একথা দাবি করা হয়েছে।
মন ভাল থাকে: মনের মধ্যে জমে থাকা বেদনারই বহিঃপ্রকাশ কান্না। তাই বিশেষজ্ঞরা গুমরে না থেকে প্রয়োজনে কাঁদতে বলেন। গবেষণায় প্রমাণিত যে যাঁরা মন খুলে কাঁদতে পারে তাঁরা খারাপ পরিস্থিতি সহজেই মোকাবিলা করতে পারেন।
ইমোশনাল থেরাপি: কান্না আসলে একটি ইমোশনাল থেরাপি। উদ্বেগ কমায় ও হতাশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। না কেঁদে দীর্ঘসময় ধরে দুঃখ বা মানসিক চাপ চেপে রাখলে মস্তিষ্কের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই মন খুলে কাঁদুন সুস্থ থাকবেন ভাল থাকবেন।