দারচিনিতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পুরুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
বহু যুগ ধরেই দারচিনি মশলা হিসাবে বিভিন্ন সংস্কৃতির রান্নায় ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। শুধু সুস্বাদু মশলা হিসাবেই নয়, ইদানীং দারচিনি ব্যবহৃত হচ্ছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানেও। দুই ধরনের দারচিনি পাওয়া যায় বাজারে। ক্যাসিয়া এবং সিলন। দারচিনির উপকারী গুণাবলী শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে। দারচিনিতে উপস্থিত প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পুরুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
দারচিনিতে রয়েছে ভরপুর ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, নিয়াসিনের মতো শরীর বান্ধব কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দারচিনি ঋতু পরিবর্তনকালীন বিভিন্ন সংক্রমণ জাতীয় অসুস্থতা থেকে সুরক্ষিত রাখে।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বেহিসেবি খাওয়াদাওয়া, মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান, মানসিক চাপের কারণে বর্তমানে পুরুষদের মধ্যে ব্যাপক হারে বাড়ছে বন্ধ্যত্বের সমস্যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘ইরেক্টাইল ডিসফাংশন’। পুরুষদের বন্ধ্যত্বের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করতে পারে দারচিনি। রাতে ঘুমানোর আগে গরম জল অথবা দুধে দারচিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পেতে পারেন।
ডায়াবিটিসের সমস্যায়
আপনি যদি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজে আসতে পারে দারচিনি। দারচিনি ভেজানো জল বা চায়ে দারচিনি মিশিয়েও খেতে পারেন।
পেশি মজবুত রাখতে
দারচিনি হাড় শক্তিশালী করতে অত্যন্ত সহায়ক একটি উপাদান। এ ছাড়াও পেশি মজবুত ও দৃঢ় করতেও দারচিনির জুড়ি মেলা ভার।
দুর্বলতা কাটাতে
সারা দিন অফিসে হাড় ভাঙা পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরে ক্লান্ত লাগে। শারীরিক দুর্বলতা বোধ হয়। সেই সময় ক্লান্তি আর দুর্বলতা কাটাতে চুমুক দিতে পারেন দারচিনি দিয়ে তৈরি চায়ে। মুহূর্তে ক্লান্তি উধাও হয়ে যাবে। শরীর ও মন হয়ে উঠবে ঝরঝরে।
রাজশাহীর সময় / জি আর